বোতলের আড়ালে কে? ছবি: বন্য অরণ্যের ফেসবুক পেজ।
বাঙালির কৌতূহলী মন ধাঁধার সমাধান করতে বরাবরই ভালবাসে। সে বইয়ের পাতায় ফেলুদার সঙ্গেই হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে— রহস্যের গন্ধ পেলেই হল, ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি। সম্প্রতি তেমনই একটি ধাঁধায় আর রহস্যে মোড়া ছবি নিয়ে বেশ চর্চা চলছে সর্বত্র। বাস, মেট্রো, রাস্তাঘাটে অনেকেই সেই ছবি দেখে মুখ টিপে হাসছেন। হোয়াট্সঅ্যাপে সেই ছবি চালাচালি হচ্ছে। নিজেদের ছবি পোস্ট না করে কেউ কেউ ফেসবুকে সেই রহস্যময় ছবি পোস্ট করছেন। পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই মন্তব্যের বাক্স ভরে যাচ্ছে নানা জনের নানা মতে। কিন্তু কী এমন ধাঁধা লুকিয়ে আছে ছবিতে? এমন হাজার ছবি তো রোজ সমাজমাধ্যম ঘাঁটতে গিয়ে চোখে পড়ে। হঠাৎ এই ছবিটাতেই কেন চোখ আটকে গেল সকলের? ছবিটি যাঁরা ইতিমধ্যেই দেখেছেন, তাঁরা বর্ণনা পড়েই বুঝতে পারবেন।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, কাঠের টেবিলের উপর দু’টি মদের বোতল রাখা। দু’টি বোতলের ফাঁক দিয়ে চোখ রাখলে দেখা যাবে, খানিক দূরে একটি গোল টেবিলের উপর আরও কয়েকটি কালো রঙের বোতল। ব্যস, ছবিতে আর তেমন কিছু নেই। অত্যন্ত সাধারণ একটি ছবি। তা সত্ত্বেও এই ছবি হঠাৎ অনেকের অবসর চর্চায় উঠে এল কেন? তার উত্তর পেতে হলে ছবিটি কাছ থেকে ভাল করে দেখতে হবে। খুব মনোযোগ দিয়ে চোখ রাখতে হবে ছবিতে। কেউ ছবিটি এক বার দেখেই বলেছেন, কেউ আবার সমস্ত মনোযোগ এক জায়গায় করে, এক বার বড় বড় চোখ করে, বিভিন্ন কৌশল কাজে লাগিয়ে ছবিটি দেখে অনেকে একটি অবয়ব খুঁজে পেয়েছেন। সেই অবয়ব অপরিচিত নয়। রাজনীতির ময়দানে তিনি অন্যতম চর্চিত ব্যক্তি। এত সূত্র পেয়েও যদি ধাঁধার সমাধান করতে না পারেন, তা হলে উত্তর খুঁজতে ঢুঁ দিতে হবে ফেসবুকে। ছবি দেখে সেখানে অনেকেই একবারে বলে দিয়েছেন, এই ছবিতে যাঁর অবয়ব লুকিয়ে আছে, তিনি আর কেউ নন, মদন মিত্র স্বয়ং।
ধাঁধার সমাধান কি করতে পারলেন মিত্রমশাই? ছবি: সংগৃহীত।
কামারহাটির বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রীর পরিচিতি শুধু রাজনৈতিক পরিসরে আটকে নেই। সমাজমাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তিনি লাইভে এলে একসঙ্গে কয়েক হাজার মানুষ দেখেন। মিউজিক ভিডিয়োয় গান গেয়েছেন। সম্প্রতি অভিনেতা হিসাবে বড় পর্দাতেও তাঁর অভিষেক ঘটেছে। সমাজমাধ্যম খুললে তাঁকে নিয়ে নানা মিমও চোখে পড়ে। তাঁকে নিয়ে এই ধরনের চর্চা বেশ উপভোগই করেন বিধায়ক।
তবে সাম্প্রতিক যে ছবিকে কেন্দ্র করে চর্চায় জড়িয়েছেন তিনি, তা নিয়ে কী বললেন মদন? উল্লেখ্য, এই ছবিটি এর আগে চোখে পড়েনি তাঁর। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মদনবাবু বলেন, ‘‘ছবিটি প্রথম দেখলাম। বুঝতেই পারছি ট্রোল করা হয়েছে আমাকে। তবে পরিশ্রম করে বানানো হয়েছে। আমি সেই পরিশ্রমকে সম্মান জানাই। এটা ভেবে ভাল লাগছে যে, মানুষ এখনও আমাকে প্রচণ্ড ভালবাসেন। আমাকে নিয়ে ভাবেন। আমাকে নিয়ে চর্চা করেন। আমি যে মানুষের হৃদয়ে রয়েছি, তা স্পষ্ট। এর আগে দেব, অভিষেককে নিয়েও এমন ছবি তৈরি হয়েছে। সেগুলি আমি দেখেছি। কিন্তু এটা আগে আমার চোখে প়ড়েনি। ছবিটিতে সৃজনশীলতার ছাপ রয়েছে। যিনি করেছেন, তাঁকে বলব এমন প্রতিভা যদি অন্য কাজে লাগাতে পারেন, তা হলে আরও সাফল্য পাবেন। কাজের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে আমি সাহায্য করতে পারি। এগুলি করে ফালতু সময় নষ্ট করছেন। ওহ লাভলি!’’