অ্যালোভেরা।
কম খরচে এবং বেশি ঝামেলা না করে যদি বাড়ির বারান্দা বা অন্দরমহল সাজিয়ে তুলতে চান, তা হলে গাছ আপনার সহজতম উপায়। তবে নিয়মিত গাছের যত্ন নিতে অনেকেই পারেন না। তাই না চাইতেও অনেক সময়ই শখ করে কেনা গাছ আর বাঁচানো যায় না। কিন্তু এমন অনেক গাছ রয়েছে, যার খুব বেশি যত্ন বা আলো-জলের প্রয়োজন হয় না। নিজের মতো দিব্যি বেড়ে ওঠে তারা। সেগুলি কোন গাছ, জেনে নিন।
স্নেক প্ল্যান্ট
এই গাছ খুব অন্ধকার কোণেও দিব্যি বাড়ে। একদম আলো ঢোকে না এমন কোণেও বেড়ে উঠবে এই গাছ। খুব বেশি জলও দিতে হয় না। নানা রকমের স্নেক প্ল্যান্ট পাওয়া যায়। ঘর সাজানোর জন্য এই গাছগুলি আদর্শ।
স্নেক প্ল্যান্ট।
মানি প্ল্যান্ট
যে কোনও ঘরের কোণে মানি প্ল্যান্টের বিভিন্ন প্রজাতি রাখতে পারেন। বাথরুমে লতানো গাছ রাখলে ভালই মানায়। তাই বাথরুমেও ভাল লাগবে এই গাছ। ফ্রিজের উপরে, রান্নাঘরের জানলায়, বসার ঘরের বইয়ের তাকে— সব জায়গারই শোভা বাড়ায় মানি প্ল্যান্ট। মাটিতে বা কাচের বোতলে জলেও রাখতে পারেন। পুরনো কাচের বোতল রং তুলি দিয়ে নিজেই সাজিয়ে তুলুন। তারপরে সেটায় লতানো গাছ রাখলে ঘরের সাজটাই বদলে যাবে।
মানি প্ল্যান্ট।
স্পাইডার প্ল্যান্ট
আর্দ্র পরিবেশে সবচেয়ে ভাল বাড়ে এই গাছ। তবে মাঝে মাঝে আলোর প্রয়োজনও পড়ে। যে ঘরের জানলার অল্প রোদ আসে, এমন জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন। গাছের পাতা হলদে হয়ে গেলে বুঝবেন, আরও আলোর প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন এই গাছ বারান্দায় রাখুন। তবে সরাসরি সূর্যের আলোয় নয়।
স্পাইডার প্ল্যান্ট।
ব্যাম্বু প্ল্যান্ট
ছোট ছোট চিনে বাঁশ গাছগুলো জলেই বাড়ে। এবং খুব কম আলোয় বেঁচে থাকে। বাথরুমে বেসিনের কাছে রাখার জন্য এই গাছ আদর্শ।
ব্যাম্বু প্ল্যান্ট।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা গাছও দারুণ পোক্ত। জল কম দিতে হয়। আর্দ্র পরিবেশ থেকেই পুষ্টি জুটিয়ে নেয়। খুব বেশি আলো ছাড়াই দিব্যি বড় হবে এই গাছ।