প্রতীকী ছবি।
শপিং মল, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, কফি-শপ— কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। এমনকী রাস্তা দিয়ে হাত ধরে হাঁটবেন, তা-ও হবে না। অগত্যা প্রেমিক-প্রেমিকাদের ডেট এখন মুঠোফোনে বন্দী। বার্তা পাঠানো, ছবি পাঠানো, দীর্ঘ সময়ে ফোনে কথা বলা এবং মাঝে মাঝে ভিডিয়ো কল, এছাড়া আর উপায় কী? সকলেই হাঁপিয়ে উঠছেন। সম্পর্কে একঘেয়েমিও চলে আসছে। তা হলে কী ভাবে সেটা কাটিয়ে আরেকটু রোমাঞ্চ আনা যায় নিজেদের জীবনে? জেনে নিন।
সেজেগুজে ভিডিয়ো কল
বাইরে দেখা করতে গেলে যেমন ভাবে সাজতেন, বাড়িতেও সে ভাবে সেজে ভিডিয়ো কল করুন মাঝে মাঝে। তা হলে এই ভি়ডিয়ো কলগুলো নিয়ে আপনার মনে একটা কৌতূহল তৈরি হবে। অনেক বেশি উদগ্রীব হয়ে থাকবেন সঙ্গীর ভিডিয়ো কলের অপেক্ষায়।
অনালাইনেই নৈশভোজ
বাইরে খেতে যেতে পারছেন না তো কী হল? সপ্তাহে একদিন ডিনার-ডেটের জন্য বরাদ্ধ করুন। সেই দিনে ভিডিয়ো কল করার আগে দু’জনেই এক খাবার প্লেটে সাজিয়ে বসুন। পছন্দের রেস্তোরাঁ থেকে অর্ডার করতে পারেন। সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালাতে পারেন। ফুল দিয়ে টেবিল সাজাতে পারেন। যাতে ফোনের পরদায় দেখে মনে হয়ে দু’জনে একান্তে বসে নৈশভোজ উপভোগ করছেন।
নানা রকম খেলা খেলুন
না অনলাইনে পোকার, ভিডিয়ো গেম বা লুডো খেলার কথা হচ্ছে না। এমন খেলা খেলুন, যাতে একে অপরকে জানতে পারেন। ‘ট্রুথ অ্যান্ড ডেয়ার’ খুব জনপ্রিয়। তেমনই ‘নেভার হ্যাভ আই এভার’ বা ‘২১ লাভ কোয়েশ্চেন’এর মতো খেলা গুগ্ল করে দেখুন। পরের ভিডিয়ো কলে এগুলো খেলে দেখতে পারেন। হয়তো প্রচুর অজানা কথা জানতে পারবেন।
পছন্দ ভাগ করে নিন
দু’জনেরই প্রিয় নেটসিরিজ একই সময় বসে দেখতে পারেন। নেটফ্লিক্সে ‘ওয়াচ পার্টি’র সুবিধে রয়েছে। যে ছবিটার জন্য বহুদিন অপেক্ষা করছিলেন, সেটাও একই সময়ে দেখুন। এ ছাড়াও পছন্দের বই, লেখক, কবি, ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। রাজনৈতিক তর্কে ডুবতে পারেন। আবার কোনও জিনিস একসঙ্গে শুরু করতে পারেন। যেমন পাঁউরুটি তৈরি করা শেখা বা সব্জির গাছ লাগানো। দু’জনে কোনও কাজ একসঙ্গে করলে একে অপরের সঙ্গে মনের জোট বেশি গাঢ় হবে। এবং দূরত্ব অনেকটাই কম মনে হবে।