বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো। এই দিনটা প্রতি বারই বাড়ির সকলে সাজেন লাল পাড় সাদা শাড়িতে। সঙ্গে সোনার গয়না। মা, কাকিমাকে দেখে আপনিও জানেন লক্ষ্মীপুজো মানেই এটাই সাজ। এই বারটা একটু অন্য রকম সাজলে কেমন হয়? মা লক্ষ্মীর বদলে যদি এ বার সাজে থাকে লক্ষ্মীর বাহন? পোশাক হোক বা অ্যাক্সেসরিজ, পেঁচা মোটিফ কিন্তু এখন বেশ ইন থিম।
পোশাক- সুতি বা হালকা সিল্কের শাড়িতে পেঁচার মোটিফ। অথবা লম্বা এক রঙা কুর্তির ওপর পেঁচার ফ্যাব্রিক। সঙ্গে পালাজো। এটাই হতে পারে আপনার এ বারের লক্ষ্মীপুজোর সাজ। সাদা শাড়ির জমিতে লাল রঙের ছোট ছোট পেঁচা, সঙ্গে লাল ব্লাউজ। লাল-সাদা শাড়িও পরা হল আবার অন্যদের থেকে একটু আলাদাও হল সাজ। তেমনই লাল বা কালো একরঙা কুর্তির বুক জুড়ে থাকতে পারে পেঁচার মোটিফ। কালো বা সাদার ওপর মাল্টি কালার দিয়ে আঁকা পেঁচাও কিন্তু দেখতে বেশ ভাল লাগে। সঙ্গে ম্যাচ বা কনট্রাস্ট করে পাজামা, লেগিংস, পালাজো, চুড়িদার, পাতিয়ালা যা খুশি পরে নিতে পারেন। বাড়ির পুজোয় ছুটোছুটি করে কাজ সামলানোর জন্য এই পোশাক কিন্তু বেশ কমফর্টেবল। আঁচল সামলানোর ঝক্কি নেই।
অ্যাক্সেসরিজ- যদি পেঁচা ফ্যাব্রিকের পোশাক জোগাড় করতে না পারেন তবে যে কোনও শাড়ি বা কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন পেঁচা মোটিফের অ্যাক্সেসরিজ। একরঙা শাড়ি বা কুর্তির বুকের ওপর থাক অক্সিডাইজের ব়ড় একটা পেঁচা পেন্ডেন্ট। অথবা দু’কানে ঝুলতে পারে দু’টো পেঁচা দুল। আঙুলে বড় একটা পেঁচার আংটিও কিন্তু মন্দ লাগবে না। চাইলে সাবেকি শাড়ির সঙ্গে পরে নিতে পারেন পেঁচার ব্রোচ বা আঁচলে ঝুলিয়ে নিন পেঁচা মোটিফের চাবির গোছা। শুধু অক্সিডাইজ নয়, কালো কারের সঙ্গে রঙ বেরঙের টেরাকোটার পেঁচা লকেটও দেখতে বেশ ভাল লাগে। শাড়ির বা পোশাকের রঙ যদি সাদা অথবা কালো হয় তাহলে চোখ বুজে পরে নিন রঙচঙে টেরাকোটার পেঁচা।
অ্যাক্সেসরিজে কিন্তু পেঁচা ছাড়া লক্ষ্মীপুজোর অন্য উপাচারও থাকতে পারে। এক ছড়া ধান, কুলো, বেল পাতাও হতে পারে আপনার সাজের অনুসঙ্গ। কালো কারের সঙ্গে অক্সিডাইজের তিনটে বেল পাতার লকেট দারুণ ফ্যাশনেবল। তেমনই লাল কারের সঙ্গে এক ছড়া ধান, কুলো বা মঙ্গল ঘট একদম হটকে লুক দিতে পারে আপনাকে। মজার ব্যাপার হল ধনতেরাসের কল্যাণে আজকাল কুলো বা ধানের ছড়া কিন্তু সোনা বা রুপোর ওপরও পাওয়া যাচ্ছে। তাই লক্ষ্মী পুজোর দিন যদি বাড়ির রেওয়াজ মেনে সোনা পরতে চান তাহলেও আপনি নিজেকে সাজাতে পারেন একটু অন্য ভাবে।