গলব্লাডারে পাথর হলে পেটের উপরের অংশে ডান দিকে তীব্র ব্যথা হয়। ছবি: শাটারস্টক।
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লে বা বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে পিত্তরসের ক্ষরণে বাধা আসে। তখন সেই পিত্তরস পিত্তথলিতে জমে পাথর তৈরি করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই অসুখের প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। ঘন ঘন উপোস করা, অসময়ে খাওয়া, ডায়াবেটিক, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে নেই, মেনোপজের পর হরমোন রিপ্লেসমেন্টে অভ্যস্ত বা এক সময়ে প্রচুর গর্ভনিরোধক বড়ি খেয়েছেন, এমন মহিলাদের এই স্টোনের আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকটা। গর্ভাবস্থায় হরমোনের ওঠানামাও এই রোগকে উস্কে দেয়।
মেয়েদের তুলনায় কম আক্রান্ত হলেও পুরুষরাও এই অসুখের বাইরে নয়। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, হরমোনাল অসুখ, কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত পুরুষদের ক্ষেত্রেও গলব্লাডারে পাথর তৈরি করতে পারে। দু’টি খাবারের মাঝে অনেক ক্ষণ ছেদ থাকলেও এই সমস্যা বাড়ে।
এতে সাধারণত পেটের উপরের অংশে ডান দিকে ব্যথা হয়। তবে এটি ছাড়াও থাকে আরও কিছু উপসর্গ। ঠিক সময়ে লক্ষণ চিনে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলে ওষুধেই মেটে সমস্যা। নইলে অস্ত্রোপচারের শরণ নিতে হয়। কোন কোন উপসর্গে সচেতন হবেন, জানালেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ভাস্কর দাস।
আরও পড়ুন: গলস্টোনের ভয়? অসুখ ঠেকাতে পাতে রাখুন এ সব খাবার
আরও পড়ুন: স্ট্রোকের ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরায় এই পদ্ধতি, জেনে নিন খুঁটিনাটি
তাঁর মতে, ‘‘অনেক সময় আমরা অসুখের হানা বুঝতে না পেরে চিকিৎসকের শরণ না নিয়ে যথেচ্ছ ওষুধ খাই। এতে ভুলের বোঝা বাড়ে। তাই কিছু কিছু উপসর্গ দেখলে অবহেলা না করে সচেতন হোন। নানা অসুখের উপসর্গ এক রকম হতেই পারে, তবু সাবধান হলে সবসময়েই তা রোগীর পক্ষে লাভজনক।’’
এই অসুখের মূল লক্ষণ পেটের ডান দিকের ব্যথা, যা কি না ছড়িয়ে পড়ে ডান কাঁধ অবধি। পেটের উপরের অংশে ডান দিকে ব্যথা হলে সাবধান হোন, খেয়াল করুন সেই ব্যথার বিস্তার। ডান কাঁধ অবধি ছড়ালে চিকিৎসকের শরণ নিন। এই অসুখে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। পেটে ব্যথার সঙ্গে এমন জ্বর এলে তাই সাবধান। একটু ভারী খাওয়াদাওয়া, বিশেষ করে মাংস ও তেল জাতীয় কিছু খেলে ব্যথা বাড়ে, সঙ্গে বমি হয় ঘন ঘন। অনেক সময় এই অসুখে আক্রান্তরা হেপাটাইটিসের শিকার হন। তাই পেটে ব্যথার সঙ্গে হেপাটাইটিস সঙ্গ দিলে চিকিৎসকের শরণ নিন।