ত্বকের পরিচর্যা কম-বেশি সকলেই আমরা করে থাকি। ত্বক ভাল রাখতে পরিচর্যা করাটা জরুরিও বটে। ইন্টারনেটের যুগে বাড়ি বসেই পরিচর্যার নানা কৌশল রপ্ত করেন অনেকেই। তারই নবতম সংযোজন এলইডি আলো থেরাপি।
এলইডি হল ‘লাইট এমিটিং ডায়োড’। কমবয়সিদের মধ্যে এই থেরাপি ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সূর্যের কড়া রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক, ব্রণের দাগ বা জৌলুসহীন ত্বক- সবেরই সমাধান লুকিয়ে রয়েছে এই এলইডি থেরাপির মধ্যে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এলইডি খুব সহজে এবং অনেক কম সময়ে ত্বক ‘মেরামত করে’ জৌলুস ফিরিয়ে আনে।
কী এই এলইডি থেরাপি? ত্বকের মেরামতিতে কী ভাবে কাজ করে এই থেরাপি?
এই পদ্ধতির প্রথম ব্যবহার শুরু করে নাসা। মহাকাশ থেকে ফিরে আসা নভশ্চরদের ত্বকের মেরামতি করতে এই থেরাপিরই সাহায্য নিয়ে থাকে তারা।
ধীরে ধীরে হাইটেক এই পদ্ধতি ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ছে এবং ত্বকের পরিচর্যার অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠছে।
এ ক্ষেত্রে একটি মুখোশ পরিয়ে দেওয়া হয়। মুখোশের মধ্যে একাধিক এলইডি আলো দেওয়া থাকে। ত্বকের মধ্যে সরাসরি সেই আলো প্রবেশ করে।
মূলত লাল এবং নীল রঙের আলো দেওয়া হয়। বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের এই আলো ত্বকের বিভিন্ন গভীরতায় প্রবেশ করে।
কোষের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ উদ্দীপিত করে তোলে এবং কোষ মেরামতিতে সাহায্য করে।
যাঁদের ব্রণর সমস্যা থাকে তাঁরাও এই পদ্ধতিতে উপকৃত হয়ে থাকেন। চামড়ার নীচে থাকা সিবেসিয়াস গ্রন্থির নিঃসরণ কমিয়ে দেয় এই আলো।
এই গ্রন্থির তৈলাক্ত নিঃসরণের ফলেই মূলত ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। গ্রন্থির নিঃসরণ কমিয়ে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্রণও কম হয়।
লাল এবং নীল ছাড়াও সবুজ এবং হলুদ আলোও ব্যবহার করা হয়ে থাকে এতে। এই চার রকমের আলোর আলাদা প্রভাব রয়েছে।
ত্বকের প্রদাহ দূর করে এবং ত্বকের বয়স কমায় লাল আলো। নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল গুণ রয়েছে। ব্রণ থেকে মুক্তি দিতে এর জুড়ি মেলা ভার।
ত্বকের কালো ছোপ, হাইপারপিগমেন্টেশন থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে শান্ত রাখে সবুজ আলো। কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বক সতেজ করে, বলিরেখা দূর করে হলুদ আলো। ত্বকের প্রয়োজন মতো আলো বেছে নিতে পারেন।
তবে এই থেরাপি করানোর আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ত্বকে সানস্ক্রিন থাকলে ভাল ফল মিলবে না। ত্বক থেকে সমস্ত মেকআপ ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে থেরাপির আগে।