চেখে দেখা যেতেই পারে ‘ফেয়ারফিল্ড বাই ম্যারিয়ট’-এর ইলিশ থালি। ছবি- সংগৃহীত।
ভাল মাছের খোঁজে কোথায় না কোথায় পাড়ি দেয় বাঙালি! বর্ষা এসে গিয়েছে, কিন্তু বাজারে ভাল ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে বেজার মুখে থলি হাতে ফিরে আসা মানুষেরাও থাকেন শহর কলকাতা। তাঁদের মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব নিয়েছে শহরেরই কয়েকটি রেস্তরাঁ। ইলিশ উৎসব তো রয়েছেই, তা ছাড়াও রয়েছে বর্ষার রকমারি পদ। কোথায় গেলে কী কী চেখে দেখতে পারবেন রইল তার হদিস।
‘ইলিশ ট্রুলি বং’ রেস্তরাঁয় চলছে ইলিশ উৎসব ‘দাওয়াত-এ-ইলিশ’। ছবি- সংগৃহীত।
ইলিশ ট্রুলি বং
শনিবার অফিস থেকে হাফ ছুটি নিয়ে চলে যান সোজা পার্ক স্ট্রিট। সঙ্গে বন্ধুবান্ধব থাকলে তো কথাই নেই। ‘ইলিশ ট্রুলি বং’ রেস্তরাঁর ইলিশ উৎসব ‘দাওয়াত-এ-ইলিশ’ এ বছর পাঁচ বছরে পা দিল। সেখানকার ‘রসুন ভাপা ইলিশ’, ‘ইলিশ দো পেঁয়াজা’, ‘ইলিশের ভর্তা’, ‘ইলিশ সিজ়লার’, ‘ইলিশের ফিশফিঙ্গার’ থেকে ইলিশের থালি— চাইলে সবই পাবেন। দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে সময় করে চলে এলেই জমিয়ে ইলিশ খাওয়া যাবে।
ফেয়ারফিল্ড বাই ম্যারিয়ট
১২ থেকে ৩১ জুলাই ফেয়ারফিল্ড বাই ম্যারিয়টে চলছে ‘রেলিশ দ্য ইলিশ’ পার্বণ। ‘স্মোকড হিলসা’, ‘হিলসা পাতুরি’, ‘সর্ষে ইলিশ’, ‘ঢাকাই ইলিশ’-এর স্বাদ চেখে দেখতে সপ্তাহান্তে ফেয়ারফিল্ডের বিশেষ রেস্তরাঁ ‘কভা’তে এক বার আসতেই হবে। তবে দুপুরবেলা এই রেস্তরাঁয় খেতে চাইলে সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টের মধ্যে আসতে হবে। আর পরিবার নিয়ে রাতে খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে এলেই হবে।
‘এ পার বাংলা ও পার বাংলা’ উৎসব চলছে ‘ওয়েস্ট ইন’ হোটেলে। ছবি- সংগৃহীত।
ওয়েস্ট ইন
খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে কোনও বাধাই বাধা নয়। এ পারে বসে ও পার বাংলার সুস্বাদু সমস্ত পদ চেখে দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে হবে ওয়েস্ট ইন হোটেলের ‘সিজ়নাল টেস্ট’ রেস্তরাঁ থেকে। ১৪ থেকে ২৩ জুলাই সেখানে চলছে ‘এ পার বাংলা ও পার বাংলা’ উৎসব। সেখানে ইলিশ ছাড়াও মিলবে ‘কচুপাতা দিয়ে চিংড়ি ভাপা’, ‘ভেটকি মাছের পাতুরি’, ‘মৌরি বাটা দিয়ে পনিরের তরকারি’, ‘কষা মাংস’... আরও কত কী! দুপুরবেলা এই রেস্তরাঁয় খেতে চাইলে সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টের মধ্যে আসতে হবে। আর পরিবার নিয়ে রাতে খাবার পরিকল্পনা থাকলে সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে এলেই হবে।
‘জে ডবলু ম্যারিয়ট’ -এ গিয়ে হালের ‘ব্রাঞ্চ’ সেরে ফেলতেই পারেন। ছবি- সংগৃহীত।
জে ডবলু ম্যারিয়ট
ছুটির দিন বন্ধুদের সঙ্গে সকালে ব্রেকফাস্টে খেতে যাওয়ার কথা থাকলেও বর্ষার এই মনোরম পরিবেশে ঘুম থেকে উঠতেই পারেননি। চিন্তা নেই ব্রেকফাস্ট এবং লাঞ্চ অর্থাৎ হালের ‘ব্রাঞ্চ’ সেরে ফেলতে পারেন এই রেস্তরাঁয়। রয়েছে ‘সিসেম-টফু স্যালাড’, ‘মিলেট স্যুপ’, ‘রোস্ট লেগ অফ ল্যাম্ব উইথ ক্র্যানবেরি জুস’, ‘মালাবারি ফিশ কারি’, আরও অনেক কিছু। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টের মধ্যে এলেই হবে। তবে যে কোনও দিন নয়। এই সুবিধে পাওয়া যাবে শুধুমাত্র রবিবারগুলোতেই।