প্রতীকী ছবি।
আগের বছরটা অনেক কসরত্ করলেন। ডায়েট, এক্সারসাইজ, জিম সবই তো চলল। কিন্তু এত করেও যেন ঠিক মন মতো ফল পেলেন না। তাই তো? যতটা রোগা হয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দেবেন ভেবেছিলেন ততটা হলেন কই? এ বছর তা হলে পরিশ্রম করুন একটু বুদ্ধি করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু এক্সারসাইজ করলেই চলবে না। দিনের কোন সময় এক্সারসাইজ করছেন তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই।
ফিটনেস অ্যাপ ফ্রিলেটিকসের ট্রেনিং স্পেশ্যালিস্ট বেন বুলাচ বলেন, এক্সারসাইজ করার ব্যাপারে কেউ কেউ হন আর্লি বার্ড। যারা ভোর ৬টা উঠে জিমে গিয়ে দিন শুরু করেন। আবার কেউ হন নাইট আউল। যারা সারা দিনের কাজ শেষ করে অফিসের পরেই জিমে যেতে বেশি স্বচ্ছন্দ।
এক্সারসাইজ করার তেমন কোনও নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও দিনের যে সময় আমাদের শরীর ও মস্তিষ্ক সবচেয়ে সক্রিয় থাকে সেই সময় এক্সারসাইজ করাই সবচেয়ে লাভজনক। আর তাই সকালে এক্সারসাইজ করলে অনেক বেশি ফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: টাক নিয়ে আর চিন্তা নেই, সমাধানের আশ্বাস বিজ্ঞানীদের
বুলাচ জানান, যারা সারা দিনের শেষে এক্সারসাইজ করেন তাদের মধ্যে অনেকেই ইনসমনিয়ার সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে ঘুমনোর আগে ওয়েটলিফটিং করলে আমাদের শরীরের পেশী খুবই এনার্জাইসড হয়ে যায়। যার ফলে ঘুমনো মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে যদি একান্তই সময়ের অভাবে সন্ধেবেলাই জিমে যেতে হয় তা হলে জোর দিন কার্ডিও এক্সারসাইজের উপর। যা আপনাকে ঘুমোতে সাহায্য করবে। কারণ ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে স্বাভাবিক মেটাবলিজম প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়।
আরও পড়ুন: হাঁপানিতে কষ্ট পাচ্ছেন? এই ঘরোয়া টোটকাগুলিতে উপকার পেতে পারেন
অন্য দিকে, সকালে আমাদের ইচ্ছাশক্তি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই নিয়মিত এক্সারসাইজ রুটিন মেনে চলা সহজ হয়, তেমনই মেটাবলিজমের মাত্রাও বেশি থাকে। সন্ধেবেলা সারা দিনের ক্লান্তির পর জিমে যেতে আলস্য লাগে। ফলে নিয়মিত রুটিনেও ছেদ পড়ে অনেকের ক্ষেত্রেই।
‘এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন’
তাই নতুন বছরে জিম করুন একটু বুদ্ধি করে।