প্রতীকী ছবি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে আরও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে চলেছে। প্রকৃতির উপর তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না আমরা। তবে এই ঠান্ডায় নিজেকে গরম রাখার উপায় কিন্তু আমাদের হাতেই রয়েছে। শুধুমাত্র শীতের পোশাক পরেই নয়, আরও নানা উপায়ে নিজেকে গরম রাখতে পারেন আপনি। সেই উপায়গুলো নিয়েই রইল কিছু টিপস
পোশাক: কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য একটা ভারী গরম জামা না চাপিয়ে একাধিক জামা পরা শ্রেয়। কারণ এ ক্ষেত্রে একাধিক জামা খুব ভাল ইনসুলেটরের কাজ করে এবং বাইরের ঠান্ডা বাতাস ভিতরে ঢুকতে দেয় না।
এই টিপস তো কমবেশি আমাদের সকলেরই জানা। আর কী কী উপায় রয়েছে? দেখে নিন
সিলিং ফ্যান অন করুন: শুনতে বোকা বোকা মনে হলেও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে। গরম বায়ু হালকা হয়। তাই সব সময়ই ঘরের সিলিংয়ের কাছের বাতাস তুলনামূলক গরম হয়। সিলিং ফ্যান অন করলে সেই বায়ু নীচে নেমে আসবে। একটু হলেও ঠান্ডা কম লাগবে।
আরও পড়ুন: বিমানের আসনের রং কেন নীল রাখা হয় জানেন?
থার্মোস্ট্যাটকে বোকা বানান: হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। খুব সহজেই এই কাজটি করা যায়। আসলে অনেকেই এমন ফ্ল্যাটে থাকেন, যেখানে থার্মোস্ট্যাট নিয়ন্ত্রণ করা তাঁর হাতে থাকে না। সে ক্ষেত্রে তাঁরা থার্মোস্ট্যাটের কাছে বেশ কিছু বরফের টুকরো রেখে দিন। বরফের ঠান্ডা হাওয়ায় থার্মোস্ট্যাট মনে করবে যে, ঘর যথেষ্ট ঠান্ডা আর নিজে থেকে শক্তি বাড়িয়ে ঘরে আরও গরম করে তুলবে।
জানলাকেও পরান গরমের পোশাক: ঘরের সমস্ত জানলায় মোটা কাপড়ের পর্দা লাগিয়ে নিন অবশ্যই। এ ছাড়া শীতের সময় বাইরের ঠান্ডা ঘরে ঢোকা থেকে আটকাতে উলের পর্দা লাগিয়ে ফেলুন। দেখবেন ঘর আগের চেয়ে অনেক বেশি গরম হয়ে উঠেছে।
রান্নাবান্না: দেখবেন, রান্না ঘরটা অন্য ঘরের তুলনায় বেশি গরম থাকে। তার কারণ রান্না। আগুন জ্বেলে বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না, সে যে ভাবেই রান্না করুন না কেন, সেই তাপ সারা রান্নাঘরটাকে বেশ গরম করে তোলে। রান্নাটা যদি কোনওভাবে অন্য ঘরে ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে সেই ঘরটাকেও এই ঠান্ডায় গরম রাখতে পারবেন।
সার তৈরি: অনেকেরই অভ্যাস সব্জি খোসা নিয়ে জৈব সার তৈরি করা। এতে শুধু গাছের পুষ্টি হয় না, আপনি হয়তো জানেন না, সামান্য হলেও ঘর গরম থাকে এতে। কী ভাবে?
সার তৈরির জন্য সব্জির খোসা পচাতে হয়। এই কাজ করে ব্যাকটিরিয়া। অসংখ্য ব্যাকটিরিয়া যখন কোনও কিছুকে পচাতে শরু করে, তখন তাপ উৎপন্ন হয়। সেই তাপে ঘরও কিছুটা গরম হয়ে থাকে।