১০ মিনিটে কী ভাবে বানাবেন রাতের খাবার? ছবি: সংগৃহীত।
যাঁরা অফিসে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে রান্নার জন্য খুব বেশি সময় বরাদ্দ করলেই মুশকিল। রান্নার ঠেলায় অফিসে দেরি হয়ে গেলে কপালে জোটে বসের চোখরাঙানি। বাড়িতে থাকলেও হেঁশেলে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে চান না অনেকেই। তবে এমন কিছু ফিকির আছে, যেগুলি মেনে চললেই আপনাকে রান্নাঘরে খুব বেশি সময় কাটাতে হবে না। জেনে নিন চটজলদি রান্না সারার কয়েকটি ফন্দি-ফিকির।
১) রান্নার সময়ে মশলা বাটতে অনেকটা সময় চলে যায়। সময় বাঁচানোর জন্য আদা, রসুন, লঙ্কা এগুলি আগে থেকেই বেটে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। মশলাগুলি বাটার সময়ে সামান্য নুন আর সাদা তেল মিশিয়ে নিলেই সাত দিন মতো ব্যবহার করতে পারবেন বাটামাশলা। একই ভাবে পরের দিন কী বানাবেন, সেই সব্জিগুলি কেটে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
২) চ়টজলদি রান্না করতে মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করুন। রান্নার সময়ে সব্জি ভাজতে বা সেদ্ধ করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। সে ক্ষেত্রে মাইক্রোওভেনে সেগুলি ভাপিয়ে নিতে পারেন। বাঙালির সব রান্নাতেই কমবেশি আলু লাগে। সামান্য জলে নুন দিয়ে টুকরো করা অল্প ভাজা আলু ভাপিয়ে নিলেই অনেকটা সময় বেচে যায়।
জেনে নিন চটজলদি রান্না সারার কয়েকটি ফন্দি-ফিকির। ছবি: সংগৃহীত।
৩) আগের দিন বেঁচে যাওয়া কোনও পদ ফেলে না দিয়ে তা দিয়ে নতুন কোনও পদ বানিয়ে ফেলতে পারেন। ধরুন আগের দিনের অনেকটা ডাল বেঁচে গেলে, তা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ডাল পোড়া, কাঁচা লঙ্কা আর সর্ষের তেল দিয়ে বেশ ভালই লাগে। এ ছাড়া, মুরগির কোনও পদ বেশি হয়ে গেলে বানিয়ে ফেলতে পারেন চিকেন ভর্তা।
৪) এক-আধ দিন অফিসে বেরোনোর তাড়া থাকে। সেই সব দিনে ভাত, ডাল, সব্জি, মাংসের মতো একাধিক পদ না বানিয়ে ‘ওয়ান পট মিল’ বানিয়ে ফেলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ভুনা খিচুরি, তেহারি, প্রেশার কুকারে বিরিয়ানির মতো খাবার বানিয়ে নিন।
৫) পরিষ্কার করে তবেই রান্নাঘরে ঢুকুন। রান্নাঘর পরিষ্কার করে গোছানো থাকলে রান্না করতেও সুবিধা হয়। হাতের কাছে সব জিনিস গোছানো থাকলে রান্না করতে সময়ও কম লাগে। অগোছালো রান্নাঘর থাকলে জিনিস খুঁজে পাওয়া যায় না, ফলে আরও বেশি সময় লেগে যায়।