ইংরেজি শব্দ ‘গান’ আর বাংলা শব্দ গানের দ্বন্দ্ব বেশ পুরানো। আর এই দ্বন্দ্বে সুর যে মোটেই কম শক্তিশালী নয় তা ফের এক বার দেখা গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে।
বন্দুক বনাম গানের লড়াই ছবি: সংগৃহীত
কত গোলা বর্ষিত হওয়ার পর, বন্ধ হবে বোমা বর্ষণ কিংবা কত মানুষ মরলে আমরা বুঝব অযথা কত প্রাণ চলে গেল যুদ্ধে? কয়েক দশক পুরনো ডিলানের এই প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। ইংরেজি শব্দ ‘গান’ আর বাংলা শব্দ গানের দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো। আর এই দ্বন্দ্বে সুর যে মোটেই কম শক্তিশালী নয় তা ফের এক বার দেখা গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। বাইরে যুদ্ধ ও বোমা বর্ষণ জারি থাকলেও থেমে রইল না ২০২২-এর খারকিভ সঙ্গীত উৎসব।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। রুশ বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন খারকিভের পাতালরেলের বিভিন্ন স্টেশনে। তেমনই একটি স্টেশন ইজতরেসনিয়ে মাইজেইতে শুরু হয়েছে খারকিভের বার্ষিক সঙ্গীত উৎসব। প্রতি বছর এই সঙ্গীত সম্মেলনে অংশ নেন দেশ বিদেশের বহু শিল্পী। কিন্তু এই বছর স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ সন্দিহান ছিলেন এই সঙ্গীত উৎসবের আয়োজন নিয়ে। তবু শেষ পর্যন্ত অবিরাম গোলাবর্ষণ উপেক্ষা করেই এই অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়েছে। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন আয়োজকরাও।
জোহাননেস গুটেনবার্গ নামক একজনের টুইটার প্রোফাইল থেকে এই অনুষ্ঠানের সূচনার ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মেট্রো স্টেশনের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন একাধিক শিল্পী। অনুষ্ঠানে বাক, শুবার্ট, ডুভোজাক প্রমুখ শিল্পীর ধ্রুপদী সঙ্গীতের পাশাপাশি ছিল ইউক্রেনের তরুণ লোকসঙ্গীত শিল্পী ভ্লাদিমির বোগাটাইরিয়ভের সঙ্গীতও। বাদ্যযন্ত্র হতে উৎসবে অংশ নিতে দেখা গেল ওলগা পিসচিতা, তাতিয়ানা ঝুক, ডেনিস কারাচেভতেভের মতো শিল্পী।