Saree

Edible Saree: পরাও যাবে আবার খাওয়াও যাবে, এমন ‘মিষ্টি’ শাড়ি বানালেন কেরলের শিল্পী

আনার গুণের শেষ নেই। তিনি বাড়িতে নিয়মিত কেক বানান, ফ্যাশন ডিজাইনিং করেন, একই সঙ্গে বর্তমানে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:০৫
Share:

নিজের তৈরি ‘মিষ্টি’ শাড়ি পরে আনা ছবি: ইনস্টাগ্রাম

পুজোর সময়ে শাড়ি পরে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন। খুব খিদে পেল। কামড়ে আঁচলটা খেয়ে নিলেন। পেট ভরল। ভরে গেল মনও। এমনও সম্ভব। সেটাই করে দেখিয়েছেন কেরালার শিল্পী আনা এলিজাবেথ জর্জ। বানিয়ে ফেলেছেন এমন এক শাড়ি, যা খেয়ে ফেলা যাবে।

ছোটবেলায় এক শিল্পীকে এমন রুমাল বানাতে দেখেছিলেন, যেটি খাওয়া সম্ভব। সেখান থেকেই মনের মধ্যে দানা বেঁধেছিল ইচ্ছা। তার পরে এক দিন মায়ের একটা শাড়ি দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন, এমন শাড়ি বানিয়েই ফেলবেন। তাই ওনাম উৎসব উপলক্ষে এই শাড়ি তৈরি করেছেন আনা।

Advertisement

আনার গুণের শেষ নেই। তিনি বাড়িতে নিয়মিত কেক বানান, ফ্যাশন ডিজাইনিং করেন, একই সঙ্গে বর্তমানে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন। কিন্তু কী ভাবে এমন শাড়ি তৈরির কথা মাথায় এল? সংবাদসংস্থাকে আনা জানিয়েছেন, একদিন তিনি দেখেন, তাঁর মা নিজের একটি ‘কাসাভু’ শাড়ি কেচে শুকোতে দিয়েছেন। কেরলেই তৈরি হয় এই বিশেষ ডিজাইনের শাড়ি। শাড়ির নকশা দেখেই আনার মনে হয়, এমন একটি শাড়িই তিনি তৈরি করবেন।

কী কী লেগেছে এই শাড়ি তৈরি করতে?

Advertisement

স্টার্চের ওয়েফার কাগজে এই শাড়ি তৈরি। এই কাগজ কেকে ব্যবহার করা হয়। আনা এ রকম ১০০টি কাগজ জুড়ে সাড়ে পাঁচ মিটারের শাড়িটি বানিয়েছেন। কেকের উপর যে ভাবে নকশা করা হয়, সে ভাবেই ‘কাসাভু’র ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িটিতে। ওজন হয়েছে দু’কিলোগ্রামের মতো।

আর দাম? কত দামে এই শাড়ি বিক্রি করবেন বা আদৌ বিক্রি করতে চান কি না, তা বলেননি আনা। তবে জানিয়েছেন, ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement