গরমে সারমেয়দের যত্ন। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে যাওয়ার সময়ে বাড়ির পোষ্য সারমেয়টি যতটা মুখ গোমড়া করে রাখে, ফেরার পর ঠিক উল্টো। দরজার ঘণ্টি বাজা মাত্রই সে একেবারে চিৎকার করে, লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে সারা বাড়ি মাথায় তোলে। কিন্তু গরম পড়লেই সমস্যা। অল্পতেই হাঁপিয়ে পড়ে। ঘরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নড়ে বসতে চায় না। পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, মানুষের মতো গরমে সারমেয়দের শরীরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তার উপর গায়ে বড় বড় লোম থাকলে তো আর কথাই নেই। মানুষের মতো কুকুরদের গায়ে দরদর করে ঘাম হয় না বলে তাদের কষ্ট হয় না, এমন নয়। সারমেয়দের শরীরেও ইলেক্ট্রোলাইটের হেরফের ঘটে। সারা ক্ষণ ঘরে এসি চালিয়ে রাখা ছাড়াও গরমে তাদের শরীর আর্দ্র রাখতে আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১) ঘরের এক কোণে সারমেয়দের খাবার জলের বাটি ভর্তি রাখুন। সম্ভব হলে প্রতি বার জল পাল্টে দিন। চাইলে একটু ঠান্ডা জল মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে কনকনে ঠান্ডা জল পোষ্যকে দেওয়া যাবে না।
২) ঘরের মেঝেতে ভিজে তোয়ালে বা কুলিং ম্যাট পেতে রাখুন। পোষ্য যখন ওই জায়গায় শুতে যাবে, তখন তোয়ালে সরিয়ে দিন। মেঝে দীর্ঘ ক্ষণ ঠান্ডা থাকবে। সেখানে শুতে সারমেয়দের ভালই লাগবে।
৩) গরমের দুপুরে বাড়ির ঝুলবারান্দায় বা পশ্চিমের ঘরে শুয়ে থাকতেই পছন্দ করে চারপেয়েটি। পড়ন্ত রোদের ছটায় বেশ তেতে থাকে বারান্দা, ঘরের মেঝে। পোষ্যকে তার পছন্দের জায়গায় যাওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। তার বদলে রোদ যাতে না আসে, সেই চেষ্টা করা যেতে পারে।
ঘরের এক কোণে সারমেয়দের খাবার জলের বাটি ভর্তি রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) টক দই, শসা কিংবা তরমুজের মতো ফল বেশি করে খাওয়ানো যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাঝে মধ্যে মিষ্টি ছাড়া আইসক্রিম দিতে পারেন। পোষ্যের জন্য নিরাপদ খেলনা ফ্রিজ়ে রেখে ঠান্ডা করে তাদের দিতে পারেন। আরাম লাগবে।
৫) গরম বলে সারা ক্ষণ যেমন এসি ঘরে পোষ্যকে শুইয়ে রাখা যাবে না, তেমনই খুব গরম পড়লে সকাল-বিকেল নিয়ম করে তাদের দৌড় করানোও উচিত নয়। রাতে খাবার খাওয়া পর বাড়ির সামনে, ছাদে একটু-আধটু হাঁটাহাটি করা যেতে পারে।