শীতের পার্টি জমিয়ে দিন সেকুইনে। ছবি: শাটারস্টক।
পুরুষের একবুক অপেক্ষা আর নারীর মনের রহস্যকে আরও কিছুটা মেদুর করে তুলতে ইনি মাঝেমধ্যেই দেখা দিতেন ডিস্কে। আশির দশকের সিনেমাতেও ডিস্কের আবহ মানেই নারীর শরীরে ঝকমকে হয়ে আলো জ্বালছেন তিনি। ইতালিতে এই পোশাকের প্রথম চল শুরু হলেও বিশ্বের নানা দেশেই ফ্যাশনিস্তারা বেছে নিয়েছেন তাঁদের সোহাগের সেকুইনকে। মূর্ছনা। ইতালীয় শব্দ ‘জেক্কিনো’ থেকে ‘সেকুইন’ শব্দের আমদানি। ধীরে ধীরে ডিস্ক ছাপিয়ে ঘরোয়া পার্টির অন্দরেও ঢুকে পড়ল শরীর ঢাকা এই উজ্জ্বল পোশাক।
ইতালীয় শব্দভাণ্ডার এর নামকরণ করলেও সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকেই এমন পোশাকের ব্যবহার ইতিহাস জানায়। তবে তখন প্রচলিত নামে পরিচিত ছিল না সে আর এর চটক বাড়াতে সোনা-রুপো নানা কিছুই যুক্ত হত এতে। যোগ হত তৎকালীন মুদ্রাও। তৎকালীন সমাজে এই পোশাকে গরিবদের কোনও অধিকার ছিল না।
তবে যুগ বদলের হাত ধরে শীতের ফ্যাশনে যেমন ঢুকে পড়েছে সেকুইন, তেমনই মধ্যবিত্তের নাগালে চলে এসেছে সেকুইন। ঘরোয়া পার্টি বা কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে পোশাকের উপর একটা সেকুইন চাপিয়েই হয়ে উঠতে পারেন সে দিনের শো স্টপার। প্লাস্টিকের সেকুইনে নানা রং মিশিয়ে তাতে পাথর বসিয়ে সেই পোশাকেই নিয়ে আসা হয় পার্টি লুক। আবার সকালে বেরনোর কথা ভেবে বাজারে মিলবে কিছু ম্যাট রঙের সেকুইনও। এ বার শীতে কী কী সেকুইনে ভরিয়ে তুলতে পারেন ওয়ার্ডরোব, রইল তার হদিশ।
আরও পড়ুন: ট্যাটু করাবেন? এ সব না মানলে বিপদে পড়বেন কিন্তু!
শীতের শুরুতেই অ্যাজমাকে জব্দ করুন, শ্বাসকষ্ট রুখতে মানুন এ সব
গ্লসি সেকুইন: নামেই মালুম, এই সেকুইন খুবই জমকালো। মূলত ‘প্রাইমারি কালার’ অর্থাৎ লাল, নীল, হলুদ, সবুজ দিয়েই এই সেকুইন তৈরি। হালে কিছু রামধনু রঙের সেকুইনও দেখতে পাওয়া যায়। এই ধরনের সেকুইন রাতের পার্টির জন্য আলাদা করে রাখুন।
সেল্ফ কালার্ড সেকুইন: পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে সেকুইন ব্যবহার করতে চাইলে এই সেকুইনে আস্থা রাখুন। লাল-কালো যে কোনও রঙের পোশাকের সঙ্গে খাপ খাইয়ে সেই রঙেরই সেকুইনেই বাজিমাত করতে পারেন শীতের পার্টি।
ম্যাট সেকুইন: সাধারণত এই সেকুইনে ধাতুর আধিক্য থাকে। প্লাস্টিকের তৈরি হলেও ম্যাট ফিনিশের এই সেকুইন অতটা ঝলমলে হয়। তবুও এর উজ্জ্বল উপস্থিতি ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে নজর ফেলবে আপনার দিকে। সকালের কোনও অনুষ্ঠানে নির্দ্বিধায় পরে ফেলতে পারেন এমন ম্যাট সেকুইন।
তবে এ পোশাক এতই উজ্জ্বল যে এর সঙ্গে সাজ রাখুন পরিশীলিত। কান ও হাতে গয়না থাকলেও গলা থাকুক ফাঁকা।