পর্যাপ্ত ছাতা, রেনকোট, প্লাস্টিক শিটের ব্যবস্থা রাখুন।
বিয়ে মানেই সাজ-গোজ, জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া আর দেদার মজা। নিজের বিয়ে হোক, পরিবারে কারও বা বন্ধুর। শীতকালে বিয়েতে যে মজাগুলো করা যায়, বর্ষা কালে বিয়ে হলে তার অনেক কিছুতেই ভাঁটা পড়ে। মনসুন ওয়েডিং মানেই একটু ঝক্কির ব্যাপার। যদি বর্ষাকালে বিয়ে হয় তা হলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।
খোলা জায়গা
খোলা মাঠ, লন বা ওপেন স্পেসে বিয়ে এখন সকলেই পছন্দ করেন। জায়গা বেশি পাওয়া যায়। খোলামেলা হওয়ার কারণে অনুষ্ঠান আরামদায়ক হয়। তবে বর্ষাকালে বিয়ে হলে খোলা জায়গার প্ল্যান ছাড়তেই হবে। কোনও ব্যাঙ্কয়েট হল বা বাড়ি ভাড়া নিন বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য।
বিদ্যুত্ সাপ্লাই
বিয়ে মানেই প্রচুর আলো। তাই বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রয়োজন। বর্ষায় ঝড়, বৃষ্টির কারণে প্রায়ই পাওয়ার সাপ্লাই বিঘ্নিত হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানের দিনগুলোতে যাতে পাওয়ার কাট না হয় বা হলে সমস্যা না হয়, তাই ইনভার্টার, জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখুন।
খাবারের মান
আপনার অনুষ্ঠানের মান কিন্তু নির্ভর করে খাবারের মানের উপর। নিমন্ত্রিতরা এটাই মনে রাখে। বর্ষাকালে বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর খারাপের সম্ভাবনা থাকে। তাই চেষ্টা করুন মেনুতে কাবাব, সেঁকা খাবার, স্যালাড প্ল্যাটার রাখতে।
ছাতা ও রেনওয়্যার হাতের কাছে রাখুন
বর্ষাকালে বিয়ের সিদ্ধান্ত যখন নিয়েছেনই তখন সে ভাবে তৈরি থাকাটাও জরুরি। পর্যাপ্ত ছাতা, রেনকোট, প্লাস্টিক শিটের ব্যবস্থা রাখুন। অনের রীতি (গায়ে হলুদ) আছে যেগুলো ছাদ বা খোলা জায়গায় করতে হয়। হঠাত্ বৃষ্টি এলে যাতে অসুবিধা না হয় তাই এ সবের ব্যবস্থা রাখুন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভিজে নাজেহাল না হতে চাইলে বেছে নিন এই ৫ স্মার্ট ফ্যাব্রিক
স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন
বর্ষাকালে যেমন জলবাহিত রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে, তেমনই পেট খারাপ, ঠান্ডা লেগে যাওয়া, ত্বকের ইনফেকশনের সমস্যাও থাকে। আর যে কোনও অনুষ্ঠান উপভোগ করার প্রথম শর্তই হল নিজেকে সুস্থ রাখা। যদি কাহিল বোধ করেন তা হলে পুরো আনন্দটাই মাটি। তাই যতটা সম্ভব নিজের যত্ন নিন। ঠান্ডা লাগলে এড়িয়ে যাবেন না। তেমনই রাস্তার খাবার, ঠান্ডা জল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।