Japanese government

গ্রামের পাত্রকে বিয়ে করলেই মিলবে আর্থিক পুরস্কার! কোন দেশে চালু হচ্ছে এমন আজব নিয়ম?

জনসংখ্যা কমছে দিন দিন। আর সেই কারণেই চিন্তিত সে দেশের সরকার। গ্রামের দিকে পাত্রদের তুলনায় পাত্রীদের সংখ্যা নগণ্য। সমস্যা মেটাতে নয়া আইন চালু করতে চলেছে সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৪৫
Share:

শর্ত মেনে বিয়ে করলেই লাখপতি! ছবি: সংগৃহীত।

জাপানের গ্রামাঞ্চলে দিন দিন কমছে মহিলাদের সংখ্যা। গ্রামাঞ্চলে মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছে জাপান সরকার। টোকিয়ো থেকে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে বিয়ে করলেই মহিলাদের জন্য থাকবে বিশেষ সুযোগ। জাপান সরকারের বিশ্বাস এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষা কিংবা কর্মক্ষেত্রের অজুহাতে জাপানি মহিলাদের টোকিয়োতে থাকার প্রবণতা কমবে।

Advertisement

জাপানের গ্রামাঞ্চলের মহিলারা কেউ পড়াশোনার জন্য, কেউ আবার চাকরি সূত্রে টোকিয়োতে এসে বসবাস শুরু করছেন। কাজ শেষেও তাঁরা আর গ্রামে ফিরতে রাজি নন। সেই কারণে গ্রামের দিকে পুরুষ ও মহিলার সংখ্যার মধ্যে ভারসাম্য বিগড়ে যাচ্ছে। এই কারণে জনসংখ্যার হারও কমছে। সম্প্রতি জাপান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টোকিয়ো থেকে যে মহিলারা গ্রামের দিকে গিয়ে সংসার পাতবেন, তাঁদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়াও যাতায়াতের খরচ, বিয়ের খরচ পুরোটাই বহন করবে জাপান সরকার।

জন্মহার কমার নেপথ্যে টোকিয়োর কড়া অভিবাসন নীতিও অন্যতম কারণ বলে মনে করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি নামক একটি সরকারি সংস্থার ২০২১ সালের সমীক্ষার ফলাফল জন্মহারের অনুপাত সম্পর্কে যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ১৭.৩ শতাংশ পুরুষ এবং ১৪.৬ শতাংশ মহিলা বলছেন যে, তাঁদের বিয়ে করার কোনও ইচ্ছে নেই। ১৯৮২ সাল থেকে প্রতি বছরই এই সমীক্ষা করা হয়। তবে গত কয়েক বছরের সমীক্ষার ফলাফল ভাবনায় ফেলেছে জাপান সরকারকে।

Advertisement

সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০২২ সালে জাপানে ৮ লক্ষেরও কম শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ১২ হাজার। ২০২০ সালে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার। অন্য দিকে, ২০২২ সালে জাপানে মৃত্যু হয়েছে ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষের। অর্থাৎ, জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুর হার প্রায় দ্বিগুণ!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement