ইলন মাস্কের টুইটার নিয়ে কী পরিকল্পনা ছবি: সংগৃহীত
কয়েকদিন আগেই সবাইকে চমকে দিয়ে বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে টুইটারের একটি বড় অংশের শেয়ার কিনে নেন ইলন মাস্ক। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২২ হাজার কোটির কাছাকাছি। টুইটারের ৯.২ শতাংশের মালিকানা দখল করে এখন মাইক্রো ব্লগিং সংস্থাটির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাস্কই।
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্কের সঙ্গে টুইটারের সম্পর্ক বরাবরই অম্ল-মধুর। তিনি যেমন মাঝে মধ্যেই টুইটারের কার্যপ্রণালী নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন, তেমনই তাঁর হরেক রকম কাজের জন্য একাধিক বার নেটাগরিকদের একাংশ টুইটারেই তাঁকে বিদ্ধ করেছেন সমালোচনায়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি শেয়ার কেনার খবর সামনে আসার পরই টুইটার সিইও পরাগ অগ্রবাল ও টুইটার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি ঘোষণা করেন, টুইটারের বোর্ড অব ডিরেক্টর্সেও আসতে চলেছেন মাস্ক। আর এই ঘোষণার পরই এ দিন হঠাৎ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি সমীক্ষা শুরু করেন মাস্ক।
সমীক্ষার প্রশ্নে মাস্ক লেখেন ‘‘টুইটার থেকে কি ডব্লিউ মুছে যাওয়া উচিত?’’ এখানেই চমকের শেষ নয়। নেটাগরিকদের জন্য উত্তরে দুটি বিকল্প রেখেছেন তিনি। ‘হ্যাঁ’ এবং ‘অবশ্যই’। টুইট করার পরপরই রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে তাঁর টুইট। শেষ পাওয়া হিসেব বলছে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাত লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষ ভোট দিয়েছেন এই সমীক্ষায়। ‘হ্যাঁ’ বলেছেন ৫৫.৮ শতাংশ আর ‘অবশ্যই’ বলেছেন ৪৪.২ শতাংশ। তবে এই ‘ডব্লিউ’-এর প্রকৃত অর্থ কী, তা অবশ্য খোলসা করেননি আমেরিকার এই ধনকুবের। নেটগরিকদের একাংশ যেমন ইতিমধ্যেই নাম বদল নিয়ে আশা আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন তেমনই আর এক অংশ অবশ্য বলছে পুরোটাই মাস্কের খামখেয়ালি ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে জানা গিয়েছে, নাম বদল নিয়ে বিশেষ আলোচনা হোক না হোক, বিজ্ঞাপন ও বাক স্বাধীনতা নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের অবস্থান সম্পর্কে ইতিমধ্যেই একাধিক পরিবর্তনের সুপারিশ করেছেন মাস্ক। এমনকি, শোনা যাচ্ছে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টও নাকি ফিরিয়ে আনতে পারেন তিনি।