(বাঁ দিকে) নূপুর ও ইরা। সুস্মিতা সেন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বছর দুয়েক চুটিয়ে প্রেম করার পর প্রেমিক নূপুর শিখরের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করলেন আমির-তনয়া ইরা খান। জানুয়ারির ৩ তারিখে মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেল বসেছিল বিয়ের আসর। আমির খানের জামাই পর্দার মানুষ নন। পেশায় তিনি ‘সেলিব্রেটি ফিটনেস ট্রেনার’। তারকাদের ফিটনেসের প্রশিক্ষণ দেন নূপুর। ইরারও ফিটনেসের ‘মাস্টারমশাই’ নূপুর। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, প্রেম এবং বিয়ে। স্ত্রী ছাড়াও স্বয়ং শ্বশুরমশাইয়েরও ফিটনেসের প্রশিক্ষক নূপুর।
তবে অনেকেরই অজানা, সুস্মিতা সেনকেও ফিটনেসের পাঠ দিয়েছেন নূপুর। ৪৮-এও সুস্মিতার বিস্ময়কর ফিটনেসের নেপথ্যে নুপূরেরও অবদান কম নয়। কারণ, নূপুরের অনুশাসনেই শরীরচর্চার অনুশীলন করেন সুস্মিতা। আন্তর্জাতিক স্তরের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের ফিটনেস ট্রেনার হিসাবেও কাজ করেছেন নূপূর। তবে সূত্রের খবর, নূপুর এই কাজের ডাক অবশ্য পেয়েছিলেন প্রাক্তন ব্রহ্মান্ড সুন্দরী সুস্মিতার কাছ থেকে। সুস্মিতার কথাতেই এমন একটি গুরুদায়িত্ব পালন করেছিলেন।
নূপুরের তারকা ‘ক্লায়েন্ট’দের মধ্যে রয়েছেন উর্বশী রাউতেলাও। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চেই অবশ্য দুজনের আলাপ। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উর্বশীও ছিলেন। কাজের ক্ষেত্রে নূপুর যে কতটা ‘নিষ্ঠুর’ এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ, সম্প্রতি তা জানিয়েছেন উর্বশী। নূপুরের প্রশিক্ষণ পর্ব নাকি বেশ কঠিন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কেউ যদি তাঁর এই কঠোরতার সঙ্গে নিজেকে সহজ করে নিতে পারে তা হলে ফিট থাকা নিয়ে আলাদা করে ভাবার প্রয়োজন নেই।
নুপূর যে কতটা ফিটনেস সচেতন, তা নিয়ে আলাদা করে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত। গাড়ি কিংবা ঘোড়ায় চেপে নয়, আট কিলোমিটার পথ দৌড়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। তাঁর সাজগোজেও সেই ছাপ ছিল। চিরাচরিত বরের পোশাকে নয়, কালো রঙের হাতকাটা গেঞ্জি আর সাদা রঙের হাঁটুঝুল প্যান্ট— নূপুরের সাজ দেখে বিয়ের দিনের সন্ধ্যায় চমকে উঠেছিলেন সকলে। ফিটনেসের পাঠ দেওয়া তাঁর পেশা হলেও, আসলে নূপুর বিশ্বাস করেন, ফিট থাকার এই নিরন্তর চর্চা তাঁর রোজের জীবনের একটা অভ্যাস। বিয়ে বলে সেই অভ্যাসে বদল আনতে চাননি নূপুর।