Coriander Leaf

৭ কারণ: বেগুন পোড়া, মাছ কিংবা পাঁঠার মাংসের ঝোলে ছড়িয়ে দিতেই হবে ধনেপাতা

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে শুধু মন নয়, ধনেপাতায় এমন কিছু উপদান রয়েছে, যা অনেক রোগ বশে রাখতেও সাহায্য করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৭
Share:
Seven health benefits of Coriander leaf or Dhaniya.

ধনেপাতা খেতে ভালবাসেন? ছবি: সংগৃহীত।

একটা ছুটির দিন। বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ মনখারাপ। তাই পাড়ার মোড় থেকে একটু ফুচকা খেয়ে আসার ইচ্ছে হয়েছে। ফুচকার মশলা, টক জলের লোভনীয় গন্ধে আর কিছু হোক না হোক, মন একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তবে পুষ্টিবিদেরা কিন্তু বলছেন, নাটের গুরু কিন্তু ফুচকার মশলায় থাকা ওই ধনেপাতা। যার গন্ধে মন ভাল হয়ে যায়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শুধু মন নয়, ধনেপাতায় এমন কিছু উপদান রয়েছে, যা অনেক রোগ বশে রাখতেও সাহায্য করে।

Advertisement

ধনেপাতা কোন কোন রোগের হাত থেকে বাঁচায়?

১) মন চাঙ্গা করে তোলে

Advertisement

শুধু খাবারের স্বাদ নয়, ধনেপাতার গন্ধে মন-মেজাজ একেবারে ফুকফুরে হয়ে ওঠে। বিভিন্ন গবেষণায় তেমনই প্রমাণ মিলেছে।

২) ত্বকের যত্ন নেয়

রক্তে জমা দূষিত পদার্থ দূর করতে পারে ধনেপাতা। রক্ত পরিষ্কার হলে তার প্রভাবে ত্বক একেবারে ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

শীতকালে ভাল-মন্দ যেমন খাচ্ছেন, তেমন নিয়ম করে ধনেপাতাও খান। বাড়তি ওজনের জন্য রাতের ঘুম উড়বে না। বিপাকহারও ভাল হবে।

৪) রোগ প্রতিরোধ বাড়িয়ে তোলে

শীতে সংক্রামক ব্যধির বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। আবার, এই শীতেই বাজারে ধনেপাতার আবির্ভাবও হয়। কেন বলুন তো? ঠান্ডার সময়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে ধনেপাতা।

রক্তে জমা দূষিত পদার্থ দূর করতে পারে ধনেপাতা। ছবি: সংগৃহীত।

৫) হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে

গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার যদি নিত্য সঙ্গী হয়, তা হলে ওষুধ না খেয়ে ভাতের সঙ্গে ধনেপাতার চাটনি খেতে পারেন। তৎক্ষণাৎ পেটের অস্বস্তি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে এই ভেষজ।

৬) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে শর্করা বশে রাখে ধনেপাতা। ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে ধনেপাতার ভূমিকা রয়েছে। তাই ডায়াবিটিস রয়েছে যাঁদের, তাঁরা নিশ্চিন্তে এই পাতা খেতে পারেন।

৭) হার্টের জন্য ভাল

ধনেপাতা খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement