চাল ধোয়া জল দিয়ে কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কম সময়ে তাড়াতাড়ি ভাত রাঁধার জন্য আধ ঘণ্টা আগে চাল ভিজিয়ে রাখেন অনেকেই। সেই জল ফেলে দিয়ে, বার কয়েক ধুয়ে নিয়ে তার পর হাঁড়ির ফুটন্ত জলের মধ্যে ভেজানো চাল দিয়ে দেন। তবে, চাল ধোয়া সেই জলের সঙ্গে এমন অনেক উপাদানই বেরিয়ে যায়। চিন, জাপান, কোরিয়ার মতো দেশে কিন্তু এই চাল ভেজানো জল ব্যবহার করা হয় রূপচর্চার কাজে। শুধু ত্বক বা চুলের যত্নই নয়, এই দ্রবণ ব্যবহার করা যায় আরও অনেক কাজে।
১) রান্নার কাজে:
কিনোয়া, ডালিয়া রান্না করতে, স্যুপ তৈরিতে কিংবা সব্জি সেদ্ধ করতে ব্যবহার করা যায় চাল ভেজানো জল। স্যুপ ঘন করতে কর্নফ্লাওয়ারের বদলে ভাতের ফ্যান ব্যবহার করা হয় বহু রেস্তরাঁয়। সেদ্ধ সব্জির ম্লান স্বাদ বদলে দিতে পারে চাল ভেজানো জল।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণে:
ওজন নিয়ন্ত্রণে শরীরচর্চা, ডায়েট— সব করছেন। কখনও চাল ধোয়া জল খেয়ে দেখেছেন কি? নিয়মিত খেলে বিপাকহার ভাল হবে, মেদও ঝরবে তাড়াতাড়ি। এই পানীয়ে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। বাজারচলতি নানা ধরনের পানীয়ে কৃত্রিম চিনি থাকে। বদলে চাল ধোয়া জল দিয়ে পানীয় তৈরি করে নিতে পারেন সহজেই।
৩) চুলে:
চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগাতে অনেকেই চাল ভেজানো জল দিয়ে চুল ধুয়ে নেন। বিশেষ এই জলটিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা চুল মসৃণ করতেও সাহায্য করে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার না করে চাল ভেজানো জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিতেই পারেন। একই কাজ হবে।
চাল ভেজানো জল টোনার হিসাবে ব্যবহারে কমে যাবে ব্রণের সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ত্বকে:
এই জল টোনার হিসাবে ব্যবহারে কমে যাবে ব্রণের সমস্যা। প্রচণ্ড রোদে ত্বকে দেখা দেয় র্যাশের সমস্যা। অনেক সময়ে মুখে ফোলা ভাবও দেখা যায়। তা দূর করতে হাতিয়ার করতে পারেন চাল ধোয়া জলকে। এই জলে তুলো ভিজিয়ে তা আলতো করে মুখে লাগান, উপকার পাবেন।
৫) গাছে:
দোকান থেকে সার কিনে গাছে দেওয়ার অনেক ঝামেলা। পরিমাণে একটু এ দিক-ও দিক হয়ে গেলে গাছ শুকিয়ে যেতে পারে। কোন সার কোন গাছে দেওয়া যায়, তা না জেনে ব্যবহার করাও ঠিক নয়। তবে, এত ঝক্কি পোহাতেই হয় না, যদি চাল ভেজানো জল গাছে দিতে পারেন। চাল ভেজানো জলের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাসের মতো উপাদান। গাছের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই উপাদানগুলি গুরুত্বপূর্ণ।