শিল্পী প্রশান্তশশীকান্ত পাতিল।
শিল্পী প্রশান্তশশীকান্ত পাতিলের ত্রিমাত্রিক ড্রয়িং ইনস্টলেশন নিয়ে শুরু হল একক প্রদর্শনী। শুক্রবার সন্ধ্যায়, সিমা গ্যালারিতে শহরের গুণীজনদের উপস্থিতিতে হল তার সূচনা। কলকাতায় ইতালির কনসাল জেনারেল জানলুকা রুবাগোত্তি ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ জানলুকা জানালেন, শিল্পীর কাজের মধ্যে দিয়ে এই দেশকে নতুন করে চিনলেন তিনি।
শিল্পী প্রশান্তের এটিই প্রথম একক প্রদর্শনী। ২০১৯ সালের ‘সিমা অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত প্রশান্ত মহারাষ্ট্রের কোরেগাঁয়ের বাসিন্দা। একটি যন্ত্র আঠা ভরে, তা ব্যবহার করেই ছবি আঁকেন তিনি। সপ্তাহখানেক ধরে তা শুকিয়ে তৈরি হয় ত্রিমাত্রিক ড্রয়িং। তেমনই সব ছবি দিয়ে এই প্রদর্শনীতে নিজের ইনস্টলেশনের কাজ করেছেন প্রশান্ত।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে এ দিন জানালেন, তাঁর কাজের মাধ্যমটি অনেকেই চেনেন না। ফলে এ শহরের শিল্পীদের সামনে নিজের কাজ দেখাতে পেরে ভাল লাগছে। অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্তের পরিবারের সকলে। তিনি বলেন, ‘‘আমি ঘর-পরিবারের ধারণা প্রকাশ করি নিজের কাজে। এই প্রথম বাবা-মা আমার কাজ দেখতে কোনও গ্যালারিতে এলেন। পরিবারের সকলে আসায় আমার কাজের ভাবনা নতুন মাত্রা পাচ্ছে যেন।’’ আরও জানালেন, এ বছর নতুন কাজে হাত দিয়েছেন তিনি। পরিযায়ীরাই থাকবেন সেই কাজের মূল ভাবনা হয়ে।
শিল্পীর কাজ। ছায়ার ব্যবহারে তৈরি হয়েছে অচেনা আবহ।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ শহরের শিল্পীরাও। সেখানেই শিল্পী শাকিলা জানালেন, যে মাধ্যম নিয়ে কাজ করেন প্রশান্ত, তা আগে বিশেষ দেখেননি তিনি। শাকিলা বলেন, ‘‘ওঁর কাজ দেখে ভাল লাগল। নতুন ধরনের শিল্পের সঙ্গে পরিচয় ঘটল।’’
ইতালির কনসাল জেনারেল জানলুকা রুবাগোত্তি ও প্রশান্তের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সূচনা হল প্রদর্শনীর। রয়েছেন শিল্পীও।
সিমা গ্যালারির তরফে তত্ত্বাবধায়ক ও পরিচালক রাখী সরকার জানান, ‘সিমা অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্যই প্রশান্তের কাজ দেখতে পেল এ শহর। এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীরা ওই প্রতিযোগিতায় নিজেদের কাজ পাঠান। বিভিন্ন শিল্পমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্টজনেরা এই প্রতিযোগিতার বিচারক। তাঁরাই খুঁজে বার করেন বছরের শ্রেষ্ঠ শিল্পীকে। তিনি বলেন, ‘‘শিল্প যোগাযোগের মাধ্যম। প্রশান্তের কাজ এখানে দেখিয়ে এ বার নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন হল এ রাজ্য এবং মহারাষ্ট্রের শিল্প ভাবনার মধ্যে।’’