ননস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা কেন উচিত নয়? ছবি: সংগৃহীত।
রোজের জীবনে একাধিক বেনিয়মের ঠেলায় কোলেস্টেরলের রোগী এখন ঘরে ঘরে। এ দিকে, স্বাস্থ্যসচেতন বাঙালি ভাবছে, তেল কম খেতে হবে বলে ননস্টিকের ফ্রাইং প্যান দারুণ কাজে আসবে। বাঙালির হেঁশেলে তাই এখন ননস্টিক ফ্রায়িং প্যান, কড়াই, তাওয়ার দাপট। কিন্তু এই ননস্টিকে ভাজা খাওয়ার ফল কত মারাত্মক, তা সম্ভবত অনেকের ধারণাতেই নেই।
ননস্টিকে ভাজা খাওয়ার ফল মারাত্মক। ছবি: সংগৃহীত।
গবেষকদের মতে ননস্টিকের বাসনপত্র তৈরি হয় ‘পারফ্লুওরোয়ালকাইল কম্পাউন্ড’ (পিএফসি) দ্বারা। এই যৌগকেই ভয়ের কারণ বলে চিহ্নিত করছেন তাঁরা। সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক চিকিৎসক পুনম দেসাই ভিডিয়ো করে সকলকে নন-স্টিক প্যান ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করলেন। নন-স্টিক প্যান কিছু দিন ব্যবহারের পরেই রং উঠতে শুরু করে। ননস্টিকের পরত উঠতে থাকলে তাতে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবারের সঙ্গে মিশে যায়, সেগুলি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে।
ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পিএফসি যৌগকে ‘কার্সিনোজেনিক’ বলে চিহ্নিত করেছে। অর্থাৎ, ক্যানসারের মতো মারণরোগের আশঙ্কা বাড়ে এই যৌগের ব্যবহারে। শুধু ক্যানসারই নয়, চিকিৎসকদের মতে থাইরয়েড, বন্ধ্যত্বের মতো রোগেরও কারণ এই পিএফসি।
বিপদ এড়াতে ফিরে যেতে হবে পুরনো অভ্যাসে। বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে হবে স্টেনলেস স্টিলের বাসন। এ ছাড়া, ব্যবহার করতে পারেন সেরামিক বা কাস্ট আয়রনের বাসনও। তেল কম খাওয়ার অজুহাতে ননস্টিকের তাওয়া নয়, বরং স্টিল, কাস্ট আয়রন, লোহা বা সেরামিকের বাসনে অল্প তেল দিয়েই খাবারদাবার ভাজুন। এতেই শরীর থাকবে সুস্থ। তেল কম ব্যবহার করতে ভাপিয়ে রান্না করতে পারেন। এ ছাড়া, রান্নায় দই ব্যবহার করলে তেল কম দিলেও চলে।