জনপ্রিয়তা বাড়ছে কু অ্যাপের।
একদিকে টুইটার এবং সরকারের দ্বন্দ্ব। অন্যদিকে জনপ্রিয়তা বাড়ছে কু অ্যাপের। ১২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ৫ দিনে প্রায় ৯ লক্ষ নতুন ব্যবহারকারী নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন এই অ্যাপে। আগামী দিনে এই অ্যাপের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আন্দোলন-বিরোধী এবং একই সঙ্গে সরকারের সমর্থনে লেখা কিছু পোস্ট টুইটার নিজেদের মাধ্যম থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের কয়েকটি পোস্টও। তার পর থেকে বেশ কয়েক জন মন্ত্রী এবং বিজেপি-সমর্থক কু-এর হয়ে সওয়াল করছেন। টুইটার থেকে সরে এসে কু-এ নাম নথিভুক্ত করার জোরদার দাবি উঠেছে এই সব মহল থেকে। আর তাতে জনপ্রিয়তা বেড়েছে দেশীয় এই অ্যাপটির।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কু-এর অন্যতম নির্মাতা অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ বলেছেন, ‘‘কু-এ কেউ এলন মাস্ক-কে অনুসরণ করুন, এটা আমাদের লক্ষ্য নয়। বরং আমরা বেশি করে চাই, ভারতীয়রা নিজস্ব ভাষায় এখানে বক্তব্য রাখুন।’’ ভারতীয়দের মধ্যে কু-এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ এটা বলেও মনে করছেন অনেকে। ইংরেজির পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত ৭টি ভারতীয় ভাষায় লেখা যায় এই মাইক্রো-ব্লগিং মাধ্যমটিতে।
দেশীয় এই নেটমাধ্যমটি তৈরি হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রথমে এর নাম ছিল ‘কু কু কু’। পরে নাম পরিবর্তন করা হয়। টুইটারের মতোই কু-এর লোগো-টিও একটি পাখির ছবি। টুইটার বনাম সরকারের দ্বন্দ্বের আগে সে ভাবে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়নি এই অ্যাপটি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার জনপ্রিয়তার পালে জোর হাওয়া। যদিও এই অ্যাপের অন্যতম অংশীদার এক চিনা কোম্পানি। তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। অনেকের দাবি, এই অ্যাপের সূত্রে ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে চিনের হাতে। কিন্তু তাতেও কমছে না এই অ্যাপের জনপ্রিয়তা।