ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়মে বদল? ছবি : সংগৃহীত
কেনাকাটা, রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া থেকে বাড়ি ভাড়ার টাকা, পয়েন্ট পাওয়ার লোভে অনেকেই অতি তুচ্ছ কারণে ক্রেডিট কার্ডের সাহায্য নিয়ে থাকেন। সব সময়ে যে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা থাকে না, তেমনটা কিন্তু নয়। যাঁরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন, এই কার্ডের মাধ্যমে কাউকে টাকা দিলে, তার বিনিময়ে কিছু পয়েন্ট পাওয়া যায়। যত বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন, তত বেশি পয়েন্ট পাওয়ার এই প্রলোভন এক সময়ে ব্যাঙ্কের তরফেই দেওয়া হয়েছিল। কোনও কোনও সংস্থা আবার উপহারস্বরূপ, তাদের গ্রাহকদের ‘ক্যাশব্যাক’ বা টাকা ফেরত দেওয়ার মতো সুবিধাও প্রদান করত।
ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি ভাড়া দেওয়ার নামে এমন অনেকের অ্যাকাউণ্টে টাকা পাঠান, বাড়ির মালিক হিসেবে, যাঁদের কোনও অস্তিত্বই নেই। এই ধরনের অপব্যবহার রুখতে তাই তৎপর হয়ে উঠেছে ব্যাঙ্কগুলি। এক একটি ব্যাঙ্কে এক এক রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে, প্রচলিত মাধ্যমগুলি হল চেক বা নেটব্যাঙ্কিং। ছবি : সংগৃহীত
‘আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক’-এর কার্ড থেকে বাড়ি ভাড়ার টাকা দিলে, চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকেই ভাড়ার মূল্যের উপর ১ শতাংশ করে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হবে। পিছিয়ে নেই রাষ্ট্রয়ত্ত ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া’ও। নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে তারা বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে ৯৯ টাকা এবং অতিরিক্ত শুল্ক আদায় করবে।অন্য ব্যাঙ্কগুলিও এই সংক্রান্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে তাদের পয়েন্টের সংখ্যা বা সীমা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে, প্রচলিত মাধ্যমগুলি হল চেক বা নেটব্যাঙ্কিং। সেগুলি ছেড়ে গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড বেছে নেওয়ার প্রধান কারণ হল, অনেকটা পরিমাণ টাকা একবারে অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে না যাওয়া এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বার্ষিক খরচ দেখানোর নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ করা।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কগুলি ব্যবহারের জন্য প্রতি বার ফি ধার্য করে। কিন্তু তুলনায় তা অনেক কম।
তবে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকের যাবতীয় নথিপত্র যদি ব্যাঙ্কের কাছে স্পষ্ট থাকে, সে ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।