প্রতীকী চিত্র।
সঙ্গীর শরীরে হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভির প্রাচুর্য থাকলে ওরাল সেক্স থেকেও হতে পারে মুখের ক্যানসার। চিকিৎসাবজ্ঞান অন্তত সে কথাই বলছে। এক–আধবারেই পুরোদস্তুর সংক্রমণ হবে এমনটা নয়। তবে দিনের পর দিন ভাইরাসের উপস্থিতি না জানলে বিপদ ঘনাতে পারে।
তা হলে সংক্রমণ হলেই কা থাকবে ক্যানসারের ভয়? ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারের মতে, ‘‘বিষয়টা তেমন নয়। তবে যে দু’-এক শতাংশের ক্ষেত্রে বিষয়টি ঘটে, তার মধ্যে যে কেউ পড়তে পারে কিন্তু। তাই সাবধান সকলকেই হতে হবে। একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে অঙ্কের নিয়মে আশঙ্কা বাড়ে। কিছু সাবধানতা নিলেই এই অসুখের ভয় কমে।’
বিপদ এড়াতে
আগে থেকেই সংক্রমিত না হয়ে থাকলে এই অসুখ ঠেকানোর অন্যতম উপায় একাধিক যৌনসঙ্গী রাখার অভ্যাস পরিত্যাগ। সংক্রামিত হলেই যে রোগ হবেই এমন নয়, তবে ১০০ জনের মধ্যে এক–দু’জনের সে আশঙ্কা থাকেই। সময়মতো চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলে তাকে ঠেকিয়ে দেওয়া যায় অনেকাংশে। এ ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যাবেন, ততই বাড়বে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা।
কী করে বুঝবেন বিপদ হয়েছে?
চিকিৎসকদের মতে, কিছু উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ওরাল সেক্সের অভ্যাস থাকার পরেও যদি খাবার ও ঢোক গিলতে কষ্ট হয়, কাশিতে রক্ত থাকে, গলায় ব্যথাহীন মাংসপিণ্ড হয় বা গ্ল্যান্ড ফোলে, এখনই সতর্ক হন। নাক–কান–গলা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে তিনি ক্যানসার বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাবেন৷ ভাইরাসের কারণে ক্যানসার হলে চিকিৎসার ফলাফল সচরাচর বেশ ভাল হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এই অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
চিকিৎসা ও ভাল থাকা
অপারেশন করার পর্যায়ে রোগ ধরা গেলে সবচেয়ে ভাল ফল হয়। রোগ সে পর্যায় পেরিয়ে গেলে করতে হয় রেডিও–কেমোথেরাপি। রোগ কী অবস্থায় আছে তার উপর নির্ভর করে অপারেশনের পরও রেডিও–কেমোথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।