ভিনিগার দিয়ে শুধু রান্না নয়, জামা থেকে হেঁশেলও পরিষ্কার করা যায়। জানতে হবে ব্যবহারের নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
মুরগির মাংস কিছু ক্ষণ ভিনিগারে ডুবিয়ে রাখলে নরম হয়। রকমারি রান্নায় ব্যবহার হয় ভিনিগার। তবে রান্না ছাড়াও রান্নাঘরের নানা কাজেও ব্যবহার করা যায় এটি। কী ভাবে কাজে লাগাবেন ভিনিগার?
১. হেঁশেলে বিশ্রী গন্ধ বেরোচ্ছে। একটি বোতলে জল নিয়ে তার সঙ্গে বেশ কিছুটা সাদা ভিনিগার নিয়ে স্প্রে করলেই কাজ হবে। ঘরের দুর্গন্ধ হোক বা স্নানঘরের, ভিনিগার ব্যবহার করলে সহজেই দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. সমপরিমাণ জল ও সাদা ভিনিগার মিশিয়ে ঘরের আনাচকানাচে কিংবা রান্নাঘরে ছিটিয়ে মুছলে পিঁপড়ে, আরশোলা, মাছি ও অন্যান্য পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রেহাই মিলতে পারে। বিশেষত হেঁশেলে পিঁপড়ে বা পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি হয়। স্বাস্থ্যের চিন্তা করলে, রান্নাঘরে রায়াসনিক স্প্রে ব্যবহার না করাই ভাল। সে ক্ষেত্রে ভিনিগার মুশকিল আসান করতে পারে।
৩. জামাকাপড়ে চা-কফি পড়ে গেলে চট করে দাগ উঠতে চায় না। এ ক্ষেত্রে ভিনিগার ও জল একসঙ্গে মিশিয়ে সেই জায়গাটিতে ঢেলে দিয়ে রগড়ে নিতে হবে। কিছু ক্ষণ পোশাকটি এ ভাবে রেখে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলেই দাগ চলে যাবে। পাশাপাশি সাদা পোশাক উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে ভিনিগার।
৪. বাজার থেকে কিনে আনা ফল, শাকসব্জিতে অনেক সময় রাসায়নিক সারের অংশবিশেষ রয়ে যায়। জলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা ভিনিগার মিশিয়ে সেই মিশ্রণে ফল, সব্জি ভিজিয়ে রাখুন। ফল, সব্জির গায়ে থাকা সমস্ত রাসায়নিক ধুয়ে যাবে।
৫. তামা থেকে স্টিল— বাসন ঝকঝকে করে তোলা যায় ভিনিগার দিয়ে। ভিনিগারের সঙ্গে বেকিং সোডা ও নুন মিশিয়ে তা স্টিল অথবা তামার বাসনে বেশ কিছু ক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে। তার পর ঘষে ধুয়ে নিলেই বাসনের জেল্লা ফিরবে।