শীতে ঋতুস্রাবের কষ্ট বাড়ে? ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুস্রাবের ব্যথায় মাসের কয়েকটা দিন খুবই অস্বস্তিতে কাটে মেয়েদের। কারও অতিরিক্ত রক্তপাত, কারও আবার পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। সঙ্গে দুর্বলতাও থাকে। তবে পেটে যন্ত্রণার সমস্যায় কমবেশি সকলকেই ভুগতে হয়। তবে ঠান্ডার সময় নাকি এই ধরনের কষ্ট বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঠান্ডায় রক্তবাহিকা, ধমনী সঙ্কুচিত হয়ে যায়। রক্ত চলাচলে সমস্যা হলে এই ধরনের ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া রক্তে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে, শরীরচর্চা না করলে ব্যথার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। আবার, শীতকালে অনেকেরই জল খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাবেও কিন্তু ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা হতে পারে।
কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ঋতুস্রাবের ব্যথা?
১) শরীর উষ্ণ রাখুন
ঋতুস্রাবের কষ্ট থেকে আরাম পেতে শরীরকে উষ্ণ রাখতে হবে। প্রয়োজনে মোজাও পরতে পারেন। ধমনী সঙ্কুচিত হওয়ার সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই টোটকা।
২) পর্যাপ্ত জল খান
শীতকালে জল খেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু ঋতুস্রাব চলাকালীন যদি জলের অভাব ঘটে, সে ক্ষেত্রে শরীর থেকে সহজে টক্সিন দূর করা যাবে না। হরমোনের মাত্রাতেও হেরফের ঘটে যেতে পারে। তাই এই সময়ে পর্যাপ্ত পানীয় খাওয়া জরুরি।
৩) হালকা শরীরচর্চা করুন
ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যায়াম করতে কষ্ট হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন, এই সময়ে হালকা শরীরচর্চা করলে পেটের পেশি শিথিল হয়। ফলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়।
শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাবেও কিন্তু ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) উষ্ণ জলে স্নান
ঋতুস্রাব চলাকালীন শারীরিক আড়ষ্টতা কাটাতে অনেকেই ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করেন। সারা দেহের তো বটেই, পেটের পেশি শিথিল রাখতেও সাহায্য করে এই ঈষদুষ্ণ জলে স্নান।
৫) পুষ্টিকর খাবার
এই সময়ে বিভিন্ন ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজে ভরপুর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। পাশাপাশি, যে সমস্ত খাবার খেলে পেটের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, সেই সব খাবার এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল।