ওয়াইনের বোতল ভাঙলে রাগ করার প্রয়োজন নেই! ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর ক’দিন বন্ধুদের নিয়ে খানাপিনার আসর জমেছিল। একগাদা ওয়াইন, বিয়ারের বোতল জমা হয়েছে সিঁড়ির তলায়। সামনে আবার বড়দিন, নতুন বছর আসছে। সেই সময়েও আবার সুরাপানের ব্যবস্থা হবে। তাই তার আগে সমস্ত কাচের বোতল সাফাই করার পরিকল্পনা করে রেখেছেন। ফাঁকা কাচের বোতল ভেঙে বিপদ ঘটে যাওয়ার আগেই লোক ডেকে, কেজি দরে বিক্রি করে দেন অনেকে। তবে বাড়ির এক কোনায় পড়ে থাকা এই শিশিবোতলগুলি দিয়ে যে অনেক খরচ বাঁচানো যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
বাড়িতে যদি এলইডি লাইটের চেন থাকে, ওয়াইনের বোতল পরিষ্কার করে ধুয়ে, সেগুলি ভরে নিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
১) বোতলের মধ্যে আলো
সামনেই তো বড়দিন। ক্রিসমাস ট্রি এবং নানা ধরনের আলো— দুটোই কিনতে হবে। বাড়িতে যদি এলইডি লাইটের চেন থাকে, ওয়াইনের বোতল পরিষ্কার করে ধুয়ে, সেগুলি ভরে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, যেন কাচের বোতলের মধ্যে ছিটেফোঁটা জলও না থাকে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
দাম দিয়ে ফুলদানি না কিনে ওয়াইনের বোতলে সাজিয়ে রাখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
২) ফুলদানি
দাম দিয়ে ফুলদানি না কিনে ওয়াইনের বোতলে সাজিয়ে রাখতে পারেন, ডাল-সহ দু’টি জ়ারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা। দেখতেও ভাল লাগবে এবং খরচও বাঁচবে। তবে কাচের বোতলের গায়ে যেন কাগজের আস্তরণ না থাকে, তা খেয়াল রাখবেন।
৩) উইন্ড চাইম্স
ওয়াইনের বোতল রাখতে গিয়ে অসাবধানে ভেঙে গিয়েছে? ওই ভাঙা কাচের টুকরো, সুতোয় বেঁধে তৈরি করে ফেলা যায় উইন্ড চাইম্স। খোলা বারান্দা কিংবা জানলার সামনে ঝুলিয়ে রাখলে ঘরের শোভা বাড়বে। আবার যাঁরা ফেংশুই মানেন, তাঁদেরও লক্ষ্যপূরণ হবে। তবে ভাঙা কাচের চার ধার যদি আগুনে মোল্ড করিয়ে নিতে পারেন, তা হলে বিপদের সম্ভাবনা এড়ানো যায়।
৪) তেলের শিশি
কাচের শিশিবোতল ভাঙাভাঙির প্রয়োজন নেই। শেষ হয়ে যাওয়া ওয়াইনের বোতল ভাল করে পরিষ্কার করে সর্ষের তেল রাখতে পারেন। মডিউলার হেঁশেলের ভোল বদলে যেতে পারে। তেল ছাড়াও ওয়াইনের বোতলে সস্, ভিনিগারের মতো তরলও রাখা যায়।
পাখিদের খাবার দেওয়ার জায়গা বানিয়ে ফেলুন ওয়াইনের বোতল দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
৫) পাখিদের খাবার দেওয়ার জায়গা
অবসর সময়ে বারান্দায় পাখিদের আনাগোনা দেখতে ভাল লাগে? তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রাখলে প্রায়শই তারা ঢুঁ মারবে বারান্দা বা জানলায়। একটি প্লেটের মাঝখানে ওয়াইনের বোতলের তলার দিক কেটে আঠা দিয়ে জুড়ে দিন। বোতল এবং প্লেটের সংযোগস্থলে বেশ কয়েকটি ছিদ্র রাখতে হবে। এমন ভাবে ছিদ্রগুলো থাকবে, যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী বোতল থেকে আপনা থেকেই খাবার বেরিয়ে আসে। বোতলের ঢাকনা খুলে পাখিদের খাবার ভরে, আবার মুখ বন্ধ করে বারান্দায় ঝুলিয়ে দিলেই কাজ শেষ।