কাণ্ড, পাতা দেখে প্রাথমিক ভাবে বাঁশ গাছ মনে করাই স্বাভাবিক। বাড়ির অন্দরমহলে রাখতেও এ ধরনের গাছের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু আদতে এগুলি বাঁশ বা ব্যাম্বু ট্রি নয়। বলা ভাল, এগুলি ড্রেসেনা। চলতি কথায় লাকি ব্যাম্বুও বলা হয়। এই ধরনের গাছ বাড়িতে রাখা শুভ বলেও মনে করেন অনেকে। সাধারণত, অত্যন্ত কম যত্নআত্তিতে ভাল থাকে লাকি ব্যাম্বু। কী ভাবে নেবেন গাছের যত্ন?
আলো: লাকি ব্যাম্বুর জন্য প্রয়োজন অল্প আলো। কম থেকে মাঝারি আলোয় ভাল থাকে এই গাছ। তাই বারান্দায়, জানালার ধারে, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো এসে পড়ে, সেখানে গাছ রাখা বাঞ্ছনীয় নয়।
জল: সাধারণত বাড়িতে টবের মধ্যে জল ঢেলেই লাকি ব্যাম্বু রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে জলের দিকেও খেয়াল রাখুন। জল যদি কালচে হয়ে যায় কিংবা তাতে কিছু ভাসমান অবস্থায় থাকে, তা হলে অবশ্যই জল বদলান। অনেক সময়েই লাকি ব্যাম্বুর জলে অ্যালগি জন্মায়। আবার শুধু জলই নয়, টব বা ভাসের গা ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে, যাতে তার গায়ে কোনও অ্যালগি বাসা না বাঁধে। প্রয়োজনে দু’সপ্তাহে এক বার করে জল বদলে টব পরিষ্কার করুন। অনেকে চওড়া পাত্রে বেশ কয়েকটি নুড়ি-পাথরের মাঝে সামান্য জল দিয়ে গাছ রাখেন। সে ক্ষেত্রে নুড়িও পরিষ্কার করুন।
পাতা: অনেক সময়েই গাছের পাতার ডগা হলদেটে হতে শুরু করে। পাতা শুকিয়ে যাওয়া, নুইয়ে পড়ার লক্ষণও দেখা যায়। আসলে জলে অতিরিক্ত নুন কিংবা আয়রনের মাত্রা থাকলে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তা হলে যেমন নিয়মিত জল পরিষ্কার করা দরকার, তেমনই সাধারণ কলের জলের পরিবর্তে পরিশ্রুত জলও ব্যবহার করতে পারেন। হলদেটে পাতার অংশ ছেঁটে ফেলতে পারেন।
মাটি: জলের পাশাপাশি মাটিতেও অনেকে এই গাছ পোঁতেন। সে ক্ষেত্রে জল দেওয়ার সময়ে খেয়াল রাখুন, মাটি যেন জলে একেবারে ভেজা না থাকে। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে এলে তবেই জল দিন।
দেরি না করে, পড়ার টেবিল, খাওয়ার ঘর বা সেন্টার টেবিলে লাকি ব্যাম্বু রেখে বাড়ি সবুজ করে তুলুন।