আসল ছবি আর এআই দিয়ে বানানো ছবি চেনার উপায় জেনে নিন। প্রতীকী ছবি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) দিয়ে বানানো বিভিন্ন ছবি এখন নেট মাধ্যমে ঘুরে বেড়ায়। সম্প্রতি ডিপফেক ছবি ও ভিডিয়ো নিয়ে বেশ হইচই হয়েছে। নামি ব্যক্তিত্ব, টিভি তারকা, খেলোয়াড় থেকে সাধারণ মানুষ— ডিপফেকে আসল ছবিকে বিকৃত করে তা নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অজস্র ঘটনা ঘটেছে। এই ডিপফেকে বানানো ছবি বা ভিডিয়ো কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগেই হয়।
প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে, ততই আসল ছবির জায়গায় এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো ছবিই বেশি ঘুরছে সমাজমাধ্যমের পাতায় পাতায়। প্রযুক্তিগত বিদ্যা যাঁদের আছে, তাঁরা সহজেই নকল ছবি চিনে ফেলবেন। কিন্তু সকলের পক্ষে আসল আর নকলের তফাত বোঝা সম্ভব হয় না অনেক সময়েই। যদি এআই নির্মিত ছবি খুব নিখুঁত হয়, তা হলে চেনা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এমন কিছু কৌশল আছে, যাতে এমন ছবি চিহ্নিত করতে পারবেন আপনিও। সেগুলি কী কী, জেনে রাখা ভাল।
১) ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ব্যবহার করে এআই দিন দিন নিখুঁত ছবি তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তাতে ভুলত্রুটিও কিছু থাকে। লক্ষ করলে তা বোঝা সম্ভব। যেমন, কোনও ব্যক্তির ছবি হলে তার নাক-মুখ অনেক সময়েই নিখুঁত হয় না। খেয়াল করলে বোঝা যাবে, নাক ও ঠোঁটের গঠনে অসামঞ্জস্য আছে। হাত-পায়ের গঠনেও তাই। চোখের মণিতে কোনও স্তর বোঝা যাবে না, মনে হবে হাতে আঁকা।
২) ছবি খুব মসৃণ হবে। কোনও ব্যক্তি বা পশুর ছবি হলে তার শরীরের কোনও ভাঁজ বোঝা যাবে না। খুবই মসৃণ লাগবে। দাঁত-চুলও বাস্তবের তুলনায় অতিসদৃশ মনে হবে। ত্বক হবে একেবারে নিখুঁত, দাগছোপহীন। হাত-পায়ের আঙুল বেশি লম্বা লাগবে। নাক ও চোয়ালের গঠনও সামঞ্জস্যহীন হবে।
৩) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা করে দেওয়া হয় অনেক ক্ষেত্রেই। খেয়াল করলে বোঝা যাবে, ছবিটির ফোকাস একটি দিকেই রয়েছে। চারপাশের সব কিছু ঝাপসা বা বিবর্ণ লাগবে।
৪) ছবির উৎস খুঁজে বার করতে পারলেই আসল না নকল বোঝা যাবে। ছবিটির সূত্র যাচাই করতে গুগল লেন্স ব্যবহার করা যেতে পারে। ‘রিভার্স ইমেজ সার্চ’ অপশনও রয়েছে। ইয়ানডেক্সের মতো প্রযুক্তিও আসল আর নকলের তফাত বুঝিয়ে দেবে। ছবিটি কোনও বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট বা সূত্র থেকে এসেছে কি না তা ধরা যাবে।
৫) যদি কোনও ছবি দেখার পরে মনে হয় যে সেটি এআই দিয়ে বানানো, তা হলে তা চিহ্নিত করতে ‘এআই ইমেজ ডিটেক্টর’ ব্যবহার করা যেতে পারে। ‘হাইভ মডারেটর’, ‘এআই আর্ট ডিটেক্টর’-এর মতো অ্যাপ এই কাজে সাহায্য করতে পারে। অ্যাপে ছবি ফেললে তা আসল না কি এইআই টুল ব্যবহার করে তৈরি, তা সঙ্গে সঙ্গে দেখিয়ে দেবে।