সবচেয়ে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় মোজা। রোজকার ব্যবহারে কখনও রং চটে যায়, রোঁয়া বেরোতে থাকে, কখনও আবার ফুটো হয়ে যায়। কিন্তু মোজার বেশির ভাগ অংশই রয়ে যায় অক্ষত। কটনের নরম রংবেরঙের মোজা ফেলে দিতেও কষ্ট হয়। অথচ বুদ্ধি খাটিয়ে সেই সমস্ত মোজাই লাগিয়ে ফেলতে পারেন কাজে।
• পুরনো মোজার মাথা থেকে দু’ইঞ্চি কেটে ফেলুন। গোড়ালির দিকেও ছোট করে কেটে নিন। এ বার হাত গলান মোজায়। গোড়ালির কাটা অংশ দিয়ে বুড়ো আঙুল বার করুন। আর্ম ওয়ার্মার তৈরি, খরচও নেই কোনও। একই ভাবে লেগ ওয়ার্মারও তৈরি করতে পারেন।
• মোজার দু’দিক কেটে নিন। খোলা দিক দু’টি সেলাই করে নিন। চৌকো অংশ তৈরি। তার উপরে ক’টি সুদৃশ্য বোতাম লাগিয়ে নিন। এ বার গরম কফিকাপ হাতে ধরার আগে পরিয়ে দিন মোজা থেকে তৈরি এই কোজ়ি। এতে মোজাও কাজে লাগানো হল, আবার পুরনো কফিকাপও পেল নতুন চেহারা।
এ ভাবেই মোজার হনুমান, স্নোম্যান, টেডি... সব তৈরি করা যায়
• বাচ্চাদের পুরনো মোজাও কাজে লাগাতে পারেন। পা গলানোর অংশটা বেশ খানিকটা কেটে নিন। বাকি অংশের ভিতরে পপুরি ঢেলে দড়ি বা রিবন দিয়ে বেঁধে নিন। পপুরির গন্ধ ছড়াবে ঘরে, তার বটুয়াও হবে আকর্ষক।
• পুরনো মোজা এক ইঞ্চি চওড়া মাপে সরু সরু করে কেটে নিন। এ বার নানা ধরনের মোজা কেটে নিন। ইচ্ছে মতো রং মিলিয়ে বিনুনি তৈরি করুন। এ বার একটি পুরনো কাপড়ের উপরে বিনুনি ইচ্ছে মতো গোল বা চৌকো ভাবে সাজিয়ে সেলাই করে নিন। তৈরি পাপোশ!
আর্ম ওয়ার্মার তৈরি, খরচও নেই কোনও
• মোজার মাথা আসলে যে কোনও সফট টয়ের মাথা তৈরি করতে দারুণ কাজে লাগে। মোজার ভিতরে তুলো বা কাপড় ভরে নিন। মোজার মাথা থেকে কিছুটা অংশ ছেড়ে রাবার ব্যান্ড শক্ত করে বেঁধে নিন। তাতে চোখ-মুখ লাগিয়ে নিন। এ বার বাকি অংশের ভিতরে তুলো ভরে সেলাই করে নিন। ইচ্ছে হলে সেই অংশ দু’টুকরো করেও সেলাই করতে পারেন। তাতে দু’পা তৈরি হয়ে যাবে। মোজার টুকরো দিয়েই পুতুলকে জামা পরান, স্কার্ফ তৈরি করুন। এ ভাবেই মোজার হনুমান, স্নোম্যান, টেডি... সব তৈরি করা যায়।
বাড়িতে বিন ব্যাগ থাকলে একটা সময়ের পরে বিন কিনে ভরতে হয়। বিনের পরিবর্তে মোজা পাট পাট করে সেলাই করে ভরতে পারেন।
মোজা দিয়েই নেক পিলো, ডগ টয়, বল নানা জিনিস তৈরি করা যায়। দরকার শুধু কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার।