প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি জানতে পেরেছেন যাঁর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তিনি অন্য কারও প্রেমে পড়েছেন। আপনাকে সে কথা বলেননি। কিন্তু তাঁদের দু’জনের সম্পর্ক দিন দিন গাঢ় হচ্ছে। এ সব জানতে পেরে ভালবাসার মানুষটির প্রতি অবিশ্বাস জন্মেছে। শুধু তাঁর প্রতিই নয়, নিজের বিবেচনা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। মনে হচ্ছে মানুষ চিনতে পারেন না আপনি। হয়তো বা আগে আর একটি প্রেম ভাঙার কথাও মনে পড়ে যাচ্ছে। বছর দশেক আগে কোন প্রেমিকের কাছে কী ভাবে ঠকেছিলেন, সে কথা ভেবেও খারাপ লাগছে।
এমন অনুভূতি যে কারও হতে পারে। এতে ঠিক-ভুল হয় না। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষেই সে কষ্ট থেকে যেতে পারে বছরের পর বছর। আপনি নরম হয়ে পড়ছেন বলে এতে লজ্জার কোনও কারণ নেই। আপনার মতো মানুষ চারপাশে অনেকেই আছেন। তাঁদের জীবনের কথা জানেন না বলে মনে হচ্ছে এমনটি আর কারও সঙ্গে হয় না।
প্রতীকী ছবি।
এই সব খারাপ লাগা থেকে নিজেকে বার করে আনতে হবে। এ কথা বলা সহজ। করা নয়। ফলে এমন কোনও উপায় বার করতে হবে যাতে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলা যায়। কোনও কিছুর জন্য যেন আটকে না যায় এগিয়ে চলার ইচ্ছা।
কী ভাবে তা করা সম্ভভ? কয়েকটি কথা মনে রাখলে অসম্ভব নয় কোনও কিছুই।
১) হাসির মতো ওষুধ হয় না। মন ভেঙে গিয়েছে বলে হাসি যেন না চলে যায় জীবন থেকে। আনন্দে থাকার ইচ্ছাই হল আসল। একটি মানুষ অনেকটা আনন্দের কারণ ছিলেন হয়তো, কিন্তু সবটা ছিলেন না। তা ছাড়াও জীবনে অনেক কিছু করার আছে। অনেক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। সকলে ভুলে গেলে চলবে না।
২) অনুভূতি দুঃখের হোক বা রাগের, সবটাই নিয়ে চলতে হবে। জেনে নেওয়া দরকার যে সে সব অনুভূতি বাদ দিয়ে দিতে পারবেন না। কারও জীবনেই শুধু সুখের অনুভূতি থাকে না। নানা ধরনের ঘটনা ঘটে। সব অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে চলতে হয়। এক দিন পুরনো কথা মনে করে দুঃখ পেলেন মানে যে পরদিন আনন্দ করতে নেই, এমন কিন্তু নয়।
৩) নিজের প্রতি কখনও ভাল লাগা, কখনও রাগ-বিরক্ত থাকে। ঘটনার প্রেক্ষিতে সে সব অনুভূতি বদলে বদলে যায়। তেমনই বাকিরাও আপনার মতোই মানুষ। কারও একটি কাজ খারাপ লেগেছে মানেই যে অন্য সব কাজ অপছন্দের হবে, তা তো নয়। ফলে ক্ষমা করার অভ্যাস করুন। পুরনো প্রমিককে ক্ষমা করতে পারলে নিজে সুস্থ থাকবেন।