হাসি যেন ম্লান না হয়। ফাইল চিত্র
ঠোঁট কালো হয়ে আসছে ক্রমাগত। তাই আপনার হাজার ওয়াটের ঝলমলে হাসিও ম্লান হয়ে আসছে। কিন্তু চিন্তার কোনও কারণ নেই। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার উপায় রয়ছে আপনার বাড়িতেই।
ঠোঁটের আর্দ্রতা
অনেক সময়ে আমরা ঠোঁট ঠিক করে ময়েশ্চারাইজ করি না বলে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। তাই কোনও একটা ভাল ব্র্যান্ডের লিপ বাম ব্যবহার করুন। তা ছাড়াও মাঝেমাঝে মধু লাগাতে পারেন।
সানস্ক্রিন লোশন
গোটা মুখে লাগালেও আমরা অনেক সময়েই ঠোঁটে সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম লাগাতে ভুলে যাই। তাতেই বড় ক্ষতি হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন অবশ্যই লাগাবেন।
নারকেল তেল
সুস্থ গোলাপি ঠোঁট পেতে মাঝেমাঝে নারকেল তেল বা কাঠ বাদামের তেল দিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। সপ্তাহে তিন দিন করতে পারলে ভাল হয়। অ্যালো ভেরাও ঠোঁটের কালচে ভাব কাটাতে দারুণ কাজ দেয়।
এক্সফোলিয়েশন
ঠোঁটের মৃত কোষ তুলতে সপ্তাহে অন্তত একদিন ঠোঁট স্ক্রাব করা প্রয়োজন। বাজারে পাওয়া যায় এমন কোনও ব্র্যান্ডের স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। আবার লেবুর রস আর চিনি দিয়ে বাড়িতেও স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। কফি গুঁড়ো এবং নারকেল তেল মিশিয়ে লাগালেও আপনি ভাল করে এক্সফোলিয়েট করতে পারবেন।
লিপ মাস্ক
গ্লিসারিন, মধু, লেবুর রস এবং স্ট্রবেরি বা শসা থেঁতো করে একটা মাস্ক বানিয়ে নিন। কাঠ বাদাম গুঁড়ো এবং টাটকা ক্রিম মিশিয়েও তৈরি হতে পারে বিকল্প মাস্ক। সপ্তাহে দু’দিন এই মাস্ক লাগাতে পারেন।
প্রসাধনী
লিপস্টিক যত দীর্ঘস্থায়ী, তত ঠোঁটের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই ম্যাট লিপস্টিক লাগানোর আগে ভাল করে লিপ বাম অবশ্যই লাগাবেন। সব সময়ে ঠোঁটের মেকআপ ভাল করে তুলে ফেলতে হবে। আর এমন প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করুন, যেগুলোয় ক্ষতিকর রসায়নের পরিমাণ কম। একটু নামী সংস্থার জিনিস ব্যবহার করলে সুবিধা হতে পারে।
জীবনযাপন
বেশি করে জল খাওয়া, টাটকা শাক-সব্জি-ফল খাওয়া এবং ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করলে আপনার ঠোঁটের স্বাস্থ্য নিমেষে বদলে যাবে। এবং কালচে ভাব দূর হয়ে গোলাপি ঠোঁট পেয়ে যাবেন।