খাওয়ার ঘরের সাজে আনুন নিজস্ব ছোঁওয়া। ছবি: সংগৃহিত
সারা দিনে প্রত্যেকেই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। হয়তো দিনের একটা সময়ই খাওয়ার জন্য সকলে একজোট হচ্ছেন। সেখানেও কথা হচ্ছে না। যে যার ফোনে ব্যস্ত। কী করে এই অভ্যাস বদলানো যায়? খাওয়ার জায়গাটার একটু ভোলবদল করে দেখুন না। যদি খাওয়ার জায়গা আরেকটু আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, তা হলে পরিবাবের সদস্যদের একজোট হওয়ার উৎসাহ বাড়তে পারে। আবার অতিথিদের মনেও বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেন। কী ভাবে সাজাবেন জেনে নিন।
রং নিয়ে খেলা
বসার ঘর রং করার সময় পরীক্ষা নিরীক্ষা করুন। একটা দেওয়ালে অন্য রকম গাঢ় রং করতে পারেন বা অন্য রকম ওয়ালপেপার লাগাতে পারেন। যদি দেওয়ালের রং হালকা রাখেন তা হলে ঘরের সাজে অন্য রকম রঙের ছোঁওয়া রাখুন। চেয়ারের কভার, টেবিলের কভার বা ন্যাপকিন, টেবিল রানার— এগুলোর রং নির্বাচন করার সময় কোনও একটা আকর্ষণীয় কালার প্যালেট ঠিক করে নিন।
কতটা সময় কাটাচ্ছেন
শুধু খাওয়ার সময়ে টেবিলে বসছেন নাকি অন্য কাজও হচ্ছে? খাওয়ার টেবিলে বসেই অনেকে ল্যাপটপ রেখে কাজ করেন। অনেক মায়েরা রান্না করতে করতে বাচ্ছাদের খাওয়ার টেবিলে বসিয়ে পড়াশোনা করান। আবার অনেক সময় ভাই-বোন খাওয়ার টেবিলে বসে নানা রকম বোর্ড গেমও খেলে। তাই বুঝতে হবে আপনার টেবিলটা কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এবং সেই মতো জায়গাটা সাজিয়ে তুলতে হবে। যদি খাওয়া ছাড়াও আরও অনেক কাজ করা হয়, তাহলে টেবিলের উপরটা যতটা সম্ভব ফাঁকাই রাখা উচিত। যদি পরিবারের সদস্যরা টেবিলে আরও বেশিক্ষণ সময় কাটান, তাহলে আরও আরমদায়ক টেবিল-চেয়ার চাই। সাজও হবে অনেক বেশি ক্যাজুয়াল।
নিজস্ব ছোঁওয়া রাখুন
নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই সাজ চাই খাওয়ার টেবিলেও। যাতে অতিথিরা এসে আপনার সঙ্গে এই জায়গাটা মেলাতে পারেন। কোনও অভিনব ঘর সাজানোর জিনিস রাখতে পারেন। যা দেখে অন্যরা উৎসুক হয়ে কথাবার্তা শুরু করবেন। কিংবা নিজের হাতে তৈরি কোনও জিনিস দিয়ে টেবিল বা ঘরের দেওয়াল সাজাতে পারেন। যদি গাছ ভালবাসেন, তাহলে খাওয়ার টেবিলের উপযুক্ত কিছু গাছ রাখতে পারেন।
আলোর দিকে নজর দিন
অনেক সময় খুব সুন্দর করে সাজানো টেবিলেও বসতে ইচ্ছে করে না, কারণ টেবিলের উপরে যথাযত আলো থাকে না। তাই সেই দিকে বিশেষ নজর দিন। আলো কেনার সময় একটু অন্য রকম শেড কিনতে পারেন। ঘরের বাকি সাজের সঙ্গে যেন তার মিল থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখবেন।