কম সময়ে তাড়াতাড়ি ছাঁকনি পরিষ্কারের উপায় জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
চা তো রোজ করছেন, ছাঁকনি পরিষ্কার করছেন কী? চা ছেঁকে কেবল জল দিয়ে ধুয়ে রাখলে ছাঁকনি তেমন পরিষ্কার হয় না। চায়ের পাতা জমতে জমতে তার গায়ে কালচে ছোপ পড়ে যায়। আবার দুধ চা খেলে, চায়ের পাতার সঙ্গে দুধ জমে থেকে আরও খারাপ অবস্থা হয়। চা খাওয়ার পর্ব শেষ হলে চায়ের বাসনের মতো ছাঁকনিও কিন্তু ভাল করে ঘষে মেজে ধুয়ে রাখা জরুরি। না হলে ছাঁকনিতে ময়লা জমে থেকে তাতে ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে। সেই ছাঁকনিতে ফের চা ছেঁকে গেলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাবে। এখন কী ধরনের ছাঁকনি ব্যবহার করছেন, সেটিও কিন্তু জরুরি বিষয়। রান্নার অন্যান্য বাসনপত্রের মতো ছাঁকনিকে ততটা গুরুত্ব দেন না অনেকেই। মনে রাখতে হবে, প্লাস্টিকের ছাঁকনি ব্যবহার করা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। স্টিলের ছাঁকনিই ব্যবহার করা উচিত। কী ভাবে তা পরিচ্ছন্ন রাখবেন, জেনে নিন সহজ উপায়।
১) চা ছাঁকার পর কেবল জল দিয়ে ধুলে কিন্তু ছাঁকনির ময়লা যাবে না। চা পাতা, দুধের গুঁড়ো ছাঁকনির জালিতে আটকে থাকবে। তাই ছাঁকনি সবসময়ে উষ্ণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর বাসন মাজার তরল সাবান দিয়ে ভাল করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
২) বেকিং সোডাও বেশ কার্যকরী। স্টিলে বাসন নতুনের মতো ঝকঝকে রাখতেও কিন্তু বেশ কাজে আসে বেকিং সোডা। ছাঁকনি পরিষ্কার করার জন্য এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে দিন। এ বার দাঁত মাজার ব্রাশে সেই মিশ্রণ মাখিয়ে ভাল করে ছাঁকনি ঘষে পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন, ছাঁকনির জালি থেকেও সব ময়লা বেরিয়ে যাবে।
৩) চায়ের ছাঁকনি ব্লিচ দিয়েও খুব ভাল পরিষ্কার হয়। এক কাপ ঠান্ডা জলে এক চা চামচ ব্লিচ মিশিয়ে দিন। এ বার সেই মিশ্রণে চায়ের ছাঁকনি ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। ভুলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছাঁকনি ডুবিয়ে রাখবেন না। তার পর একই ভাবে দাঁত মাজার ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
৪) ছাঁকনিতে খুব বেশি কালো দাগ পড়ে গেলে তা তোলার আরও একটি সহজ উপায় আছে। ছাঁকনিটি গ্যাস বার্নারের আঁচে কিছু ক্ষণ ঝলসে নিন। খুব বেশি আঁচে নয়। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিন। তার পর বাসন মাজার তরল সাবান দিয়ে ভাল করে মেজে নিলেই ঝকঝকে হয়ে উঠবে।