প্রতীকী ছবি।
সর্ষে দিয়ে পাবদা মাছ রান্না করলেন। সেই সর্ষে আদৌ খাঁটি কি? রান্নায় যেসব গুঁড়ো মশলা চোখ বুজে ব্যবহার করছেন, সেগুলি ভেজাল নয় তো? মশলাপাতি বাজার থেকে কিনে আনার পর পরখ করে দেখে নেওয়া জরুরি। হয়তো এই ভেজাল মশলাই দিনের পর দিন খেয়ে কোনও না কোনও অসুখের শিকার হচ্ছেন! এখানে রইল এরকমই তিনটি রান্নার মশলার কথা। এগুলিতেই সাধারণত বেশি ভেজাল মেশানো হয়। জেনে নিন সেগুলি ভেজাল না খাঁটি। রইল তা বোঝার কয়েকটি সহজ ফন্দি।
গোলমরিচ
গোলমরিচে অনেক সময়ে পেঁপের বীজ মেশানো হয়। এই গোলমরিচ খেলে কোনও উপকারই পাবেন না। মশলাটি খাঁটি কি না বুঝতে এক গ্লাস জলে সামান্য গোলমরিচ দিন। গোলমরিচ খাঁটি হলে তা জলের নীচেই ডুবে থাকবে। পেঁপের বীজ মেশানো থাকলে, তা উপরে ভেসে উঠবে।
প্রতীকী ছবি।
সর্ষে
ভেজালের হাত থেকে রেহাই পায় না সর্ষেও। সর্ষের সঙ্গে অনেক সময়েই মিশিয়ে দেওয়া হয় আর্জেমন বীজ। সর্ষেতে এই ভেজাল মেশানো আছে কি না, বুঝতে একটি কাচের প্লেটের সামান্য সর্ষে নিন। হাত দিয়ে ভাল করে বেছে দেখুন। সর্ষের পিঠ সাধারণত বেশি মসৃণ হয় আর্জেমন বীজের থেকে। আর্জেমন বীজ একটু মোটা দানার আর খসখসে হয়। সর্ষের বীজ আসল হলে, তা গুঁড়ো করলে এর ভিতরে হলুদ অংশ দেখা যাবে। কিন্তু আর্জেমন বীজ হলে, তা গুঁড়ো করলে ভিতরে সাদা অংশ দেখা যাবে। এই তফাত একটু খেয়াল করতে হবে।
জিরে, ধনে গুঁড়ো
এই সব মশলয় ভেজাল দিতে মেশানো হয় কাঠের গুঁড়ো। তাই গুঁড়ো মশলায় ভেজাল আছে কি না বুঝতে এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ ধনে বা জিরে গুঁড়ো দিতে হবে। মশলা খাঁটি হলে, জল পরিষ্কার থাকবে। না হলে জলের উপর কাঠের গুঁড়ো ভেসে উঠবে।