প্রতীকী ছবি।
বাজার থেকে প্যাকেটবন্দি যে কোনও জিনিস কেনার সময়ে আমরা প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘এক্সপায়ারি ডেট’ খেয়াল করে নিই। তার পরে প্যাকেট খোলা হোক বা না হোক, সেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবারটি শেষ না হলে সেটি ফেলা দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। মুড়ি বা বিস্কুটের মতো শুকনো খাবার যেমন অনেক দিন যায়, কেক বা মশলার মতো কিছু জিনিস অনেক তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলতে হয়। দুধ-পাউরুটির মতো খাবার হলে তো কথাই নেই। কিছু কিছু খাবার আছে, যা এই তালিকার বাইরে। এই খাবারগুলির সে ভাবে কোনও ‘এক্সপায়ারি ডেট’ হয় না। ভাল থাকে বহু দিন। তাই নির্দ্বিধায় অনেক পরিমাণে কিনে হেঁশেলে জমিয়ে রাখতে পারেন বহু দিন। জেনে নিন সেই খাবারগুলি কী কী।
চাল-ডাল: লকডাউনের আগে মানুষ একসঙ্গে ১০ কেজি বা ২৫ কেজি চালও কিনে রেখে দিয়েছিলেন। এতটা চাল এক বারে কোনও ছোট পরিবারের প্রয়োজন হয় না। তাও সকলে বেশি করে কিনে রাখেন কারণ চাল-ডালের মতো শুকনো খাবার কখনও খারাপ হয় না। তবে এতে পোকা ধরে যেতে পারে সহজেই। তাই শুকনো লঙ্কা বা লবঙ্গ রেখে দিতে পারেন চাল-ডালের মধ্যে। তা হলে পোকা কম হবে। হাওয়া-বন্ধ পাত্রে রাখতে হবে এগুলি। একই ভাবে ওট্স বা কিনোয়া কিনলেও নিশ্চিন্তে রেখে দিতে পারবেন অনেক দিন।
পাস্তা-চাউ: পাস্তা বা নুডল্সের মতো শুকনো খাবারও খারাপ হবে না। প্যাকেট না খোলা হলে বহু দিন ঠিক থাকে এই খাবারগুলি। সহজেই বছর খানেক রেখে রেখে খেতে পারবেন।
প্রতীকী ছবি।
ভিনিগার-সয়া সস: ভিনিগার, সয়া সস, বা মাস্টার্ড সস ভাল থাকে বহু দিন। আমরা অনেকেই ভিনিগার এবং সয়া সস ফ্রিজে রাখি। কিন্তু এগুলি বাইরে রাখলেও চলে। দিব্যি ভাল থাকবে।
নুন-চিনি: নুন কিংবা চিনি আপনি যত খুশি কিনে রাখতে পারেন। রান্নাঘরে হাওয়া বন্ধ কৌটোয় রাখলে ভাল থাকবে বহু দিন। চিনি কম খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও ক্ষতি নেই। কারণ না ফুরনো পর্যন্ত একই রকম থাকবে। চিনির বদলে আপনি যদি মধু বা মেপ্ল সিরাপ খান, সেগুলিও একই তালিকায় পড়বে। খাঁটি মধু কোনও দিনই খারাপ হয় না। ফ্রিজে রাখারও প্রয়োজন নেই।
ড্রাই ফ্রুট-বীজ: আমসত্ত্ব রয়েছে অনেক দিন? কাজু-কিসমিস-খেজুর কিনে পড়ে রয়েছে বেশ কয়েক মাস? নিয়মিত চিয়া বা কুমড়োর বীজ খাওয়া হয় না? চিন্তা করবেন না। পয়সা দিয়ে কেনা খাবার নষ্ট হচ্ছে না। এগুলি ভাল থাকে বহু দিন। যে কোনও লম্বা সফরে গেলেও তাই এগুলি অনায়াসে সঙ্গে রাখতে পারেন।