রোজ শ্যাম্পু করছেন? ছবি: সংগৃহীত।
রোজ শ্যাম্পু করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে, এমন ধারণা কমবেশি সকালেরই আছে। শ্যাম্পুতে নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে। যা নিয়মিত ব্যবহারে মাথার ত্বক এবং চুলের মান দুই-ই নষ্ট হতে পারে। কিন্তু ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গরমে, ঘেমে সালোঁয় গিয়ে কায়দা করা মাথার চুল, তেলতেলে হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। ঘামে ভেজা মাথার ত্বকে ধুলোময়লা জমেও তো চুলের ক্ষতি হতে পারে। অন্য সময়ে এক-দু’দিন অন্তর শ্যাম্পু করেন। কিন্তু পুজোর সময়ে রোজ শ্যাম্পু না করলেই নয়! কিন্তু তাতে চুলের ক্ষতি হবে না তো?
আসলে, প্রতি দিন শ্যাম্পু করা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা রকম ধারণা রয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, রোজ শ্যাম্পু করা ভাল না খারাপ, তা আন্দাজে বলে দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। কেউ প্রতি দিন শ্যাম্পু করবেন কি না, তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির চুলের ধরনের উপর। যেমন চুল কিংবা মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে রোজই শ্যাম্পু করতে হতে পারে। কিন্তু শুষ্ক, রুক্ষ চুল হলে ঘন ঘন শ্যাম্পু না করাই ভাল। আবার কোঁকড়ানো বা রং করা চুলের ক্ষেত্রে আলাদা করে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
রং করা চুলের যত্নে
চুলে যদি রাসায়নিক দেওয়া রং ব্যবহার করে থাকেন, তা হলে সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট। তার কম হলেও ক্ষতি নেই। কারণ, চুল ভাল রাখার পাশাপাশি চুলের রং বেশি দিন পর্যন্ত ভাল রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।
চুল ভাল রাখার পাশাপাশি চুলের রং বেশি দিন পর্যন্ত ভাল রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: সংগৃহীত।
শ্যাম্পুর গুণগত মান
রোজ শ্যাম্পু করতে চাইলে অবশ্যই তার গুণমানের উপর নজর রাখা জরুরি। সাধারণত মাইল্ড, সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে বলেন চিকিৎসকেরা। মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল এবং পিএইচের মান ভাল রাখতে সাহায্য করে এই ধরনের শ্যাম্পু।
প্রয়োজন অনুযায়ী ‘কাস্টমাইজ়ড’ প্রসাধনী
প্রসাধনী নিয়ে সারা ক্ষণই পরীক্ষানিরীক্ষা চলে। ইদানীং বিভিন্ন অনলাইন সাইটে কাস্টমাইজ়ড প্রসাধনী বিক্রি হয়। প্রত্যেকের চুলের ধরন আলাদা। সে কথা মাথায় রেখেই এই ধরনের প্রসাধনীগুলি তৈরি করা হয়। তবে তার সঙ্গে জীবনযাপনের ধাঁচ এবং কোনও গুরুতর রোগ আছে কি না, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে তার পরই ওই ‘কাস্টমাইজ়ড’ প্রসাধনী তৈরি করা হয়। এই ধরনের শ্যাম্পুও ব্যবহার করা যেতে পারে।