নীতা অম্বানী। ছবি: সংগৃহীত।
অম্বানীদের সামাজিক প্রতিপত্তি, ঐশ্বর্য, বিপুল সম্পত্তি নিয়ে চর্চা হয়েই থাকে। এসবের মাঝেও সর্ব ক্ষণ আলোচনায় থাকেন অম্বানী বাড়ির বড় বৌ নীতা অম্বানী। তাঁর সাজগোজ, অভিব্যক্তি, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে। দুই ছেলে-বৌমা, মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনিদের নিয়ে ভরা সংসার। নীতার বয়সের চাকাও ৬০-এর কোঠা পার করেছে বছর কয়েক আগে। তবে মুকেশ-পত্নীর চেহারা দেখে তা বোঝার উপায় নেই। ঘরোয়া কোনও অনুষ্ঠান হোক কিংবা ছেলের বিয়ের— নাচে-গানে মাতিয়ে রাখেন নীতা। শুধু তাঁর গয়না নয়, নীতার ফিটনেসও সমান নজরকাড়া। সাক্ষাৎকারে নীতা জানিয়েছিলেন, বিয়ের সময় তাঁর ওজন ছিল ৪৫ কেজি। তবে তিন সন্তানের জন্মের পর থেকে ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ৯০ কেজিতে। তবে সেই ওজনও কমিয়ে ফেলেছিলেন নিজের চেষ্টায়। কোন রুটিন মেনে এই বয়সেও নিজেকে ছিপছিপে রেখেছেন মুকেশ-পত্নী?
বিটের রস
খাওয়াদাওয়ার বাড়তি নজর নীতা অম্বানীর। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ সকালে উঠে খালি পেটে দু’গ্লাস বিটের রস খান তিনি। বিটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের মেদ গলিয়ে দেয়। আলাদা করে মেদ জমতে দেয় না বিট।
সবুজ শাকসব্জি
রোজের ডায়েটে মাছ-মাংস না থাকলেও সবুজ শাকসব্জি দিয়ে তৈরি খাবার থাকে বেশি। শাকসব্জিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। মেদ গলিয়ে দেয়। সব্জিতে থাকা প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেলস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ফল খাওয়া
রোগা হওয়ার ডায়েটে ফল থাকা বাধ্যতামূলক। এই পর্বে যত বেশি ফল খাওয়া যাবে, রোগা হওয়ার পথ তত মসৃণ হবে। নীতার সকালের জলখাবারে থাকে নানা ধরনের ফল। দুপুরের খাবার খাওয়ার পরেও একটি করে ফল খান তিনি। মাঝেমাঝেই ফলের রস বানিয়েও খান।
ডিটক্স পানীয়
সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে লেবু, পুদিনা দিয়ে বানানো ডিটক্স পানীয়ে চুমুক দেন। এই পানীয় শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দেয়। গ্যাস, অম্বলের ঝুঁকি কমায়। হজমের গোলমাল থেকেও দূরে রাখে এই পানীয়। হজম ঠিকঠাক হলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।