ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনেকেই দ্বিতীয় পোশাক না ধুয়ে পরেন না। ছবি: সংগৃহীত
কোনও পোশাক না ধুয়ে ঠিক কত বার পরা যায়, সে বিষয়ে অধিকাংশেই অবগত নন। এক বার পরার পরেই কি ধুয়ে ফেলা জরুরি, না কি একই পোশাক বেশ কয়েক বার পরা যেতে পারে, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। সম্প্রতি এক প্রভাবী একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োর মাধ্যমে এই বিষয়ে নিজের মতামত দেন।
অ্যালিসন ডেলপারডাঙ নামে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি যখন ছোট ছিলেন, রোজ রাতে একটি পায়জামা পরে তিনি ঘুমাতেন। বেশ অনেক দিন পরে তিনি বুঝতে পারেন যে, পায়জামাটি কাচা হচ্ছে না। তখন মাকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। অ্যালিসনের মা জানিয়েছিলেন, পায়জামাটি দু’সপ্তাহ কাচা হয়নি।
এক পোশাক বার বার পরলে নোংরা হয়ে যাবে, এই ধারণা ভুল। প্রতীকী ছবি।
তার কারণ, সেটি তেমন নোংরাও হয়নি। এক পোশাক বার বার পরলে নোংরা হয়ে যাবে, এই ধারণা ভুল। যিনি পরছেন তাঁর ব্যবহারের উপর নির্ভর করছে, পোশাকের পরিচ্ছন্নতা। কে কতটা ঘামেন, তার উপরও নির্ভর করে ময়লা হবে কি না।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনেকেই পোশাক না ধুয়ে দ্বিতীয় বার পরেন না। এই অভ্যাস ভুল নয়। তাতে ত্বকে কোনও সংক্রমণের আশঙ্কা কম থাকে। পাশাপাশি এটাও ঠিক, পোশাক বার বার ধুলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তা হলে একই পোশাক না কেচে ঠিক কত বার পরা যায়?
এর কোনও নির্দিষ্ট উত্তর হয় না। পোশাকের উপর নির্ভর করছে, সেগুলি না কেচে পরার মেয়াদ। তবে অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বার না কেচেই পরতে নিষেধ করা হয়। কারণ এই ধরনের পোশাক শরীরের যে অংশে পরা হয়, সেখানে এমনিতেই ব্যাক্টেরিয়া থাকে। ফলে একই অন্তর্বাস কখনও দু'বার পরা উচিত নয়।
জিনস, পায়জামা, শার্টের মতো কিছু পোশাকের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে ছাড় আছে। এ ধরনের পোশাকগুলি বেশি বার ধুলে আবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। না ধুয়ে কত বার এই ধরনের পোশাক পরা যাবে, তার নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা নেই। এটা পুরোটাই নির্ভর করছে যিনি পরছেন, তাঁর ব্যবহার করার উপরে।