পর্নসাইট দেখার অভ্যাস মানসিক বৈকল্য ডেকে আনে। ছবি: শাটারস্টক।
বিশ্বায়ন আর ব্যস্ত সময়, এই দুইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে প্রযুক্তির হাতছানি। বড়-ছোট নির্বিশেষে সকলের কাছেই নেট দুনিয়া রীতিমতো ‘সব পেয়েছির আসর’। আর এই সব পাওয়ার ফাঁক গলেই ঢুকে পড়ছে অনেক ভুলভাল খোঁজ ও বিপজ্জনক পাওয়া।
এমন কিছু বিপদের গন্ধ আর তার নেশাই ধ্বংস করে দিচ্ছে অনেক শৈশব বা কিশোর কাল। অভিভাবকদের লুকিয়ে গোপন পর্নসাইটে ডুবে যাচ্ছে শিশুরাও। ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ হলেও মোবাইল বা কম্পিউটারের দৌলতে সে সবেরও শিকার হচ্ছে তারা।
এমনিতেই ঘরে-বাইরে কর্মব্যস্ততা সামলে সন্তানের দিকে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখা যায় না। আর প্রতি মুহূর্তে নজর বড় করে তোলা কোনও সুস্থ নিয়মও হয়। কিন্তু সে সব অসুবিধাকে কাজে লাগায় অনেকেই। বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর পর শারীরিক নানা পরিবর্তনের সঙ্গে মানসিক পরিবর্তনের শিকার হয় কিশোর-কিশোরীরা। আর তখনই পর্নোগ্রাফির নেশার শিকার হয়ে ওঠে অধিকাংশ। কখনও নিছকই কৌতূহলের বশে আবার কখনও অজান্তেই। আপনার সন্তানও সে পথে পা বাড়ায়নি তো? কী করে বুঝবেন?
আরও পড়ুন: চিকেন পক্সের সময় কী ভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে? রোগীর যত্নই বা নেবেন কী ভাবে?
হইহই করে বেড়ানো, প্রাণখোলা সন্তান হঠাৎ একটু চুপচাপ? বা শান্ত হলেও হঠাৎকরে সারা ক্ষণই কিছু একটা আড়াল করার আভাস কি তার চোখে-মুখে? সচেতন হোন। কিশোর বয়সে নিষিদ্ধ কিছুর নেশায় জড়ালে পরিচিত মানুষদের সামনে কিছু ভাবভঙ্গির বদল আসে। সারা ক্ষণ ফোন বা কম্পিউটারে খুটখুট? তার ব্যবহারের ফোন সব সময়ই পাসওয়ার্ড দিয়ে বন্ধ করা বা মোটে ফোন হাতেই দিতে চায় না সন্তান? অন্যান্য গোপনীয় বিষয়ের জন্যও তার এমন আচরণ হতে পারে। কিন্তু তার সঙ্গে পর্ন ছবি দেখা বা পর্ন সাইট ব্যবহারের দিকটিও উড়িয়ে দেবেন না। অনেক রাত অবধি সন্তান ফোন ব্যবহার করলে তা পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনও কারণে কি না তা খতিয়ে দেখুন।
আরও পড়ুন: ব্যায়াম বা ডায়েটের পরেও শরীরের বাড়তি চর্বি ঝরতে সময় নিচ্ছে? তা হলে এই পানীয় খান রোজ
অন্য কাউকে ঘরে ঢুকতে দেখলেই কি সন্তান ল্যাপটপ বন্ধ করে দেয় বা কম্পিউটারে দ্রুত অন্য কোনও পেজ খোলে? তার ভাবভঙ্গি দেখে তা বোঝার চেষ্টা করুন। হঠাৎ চুপচাপ হয়ে গেলে বা বন্ধুদের সঙ্গে অনুচ্চ স্বরে আলোচনা হলে সজাগ হোন। চেষ্টা করুন, কী বিষয়ে আলোচনা বা হঠাৎ চুপচাপ থাকার কারণটুকু বন্ধুর মতোই মিশে জানতে। শুধু গোপন করার ভাবভঙ্গিই নয়, সন্তান হঠাৎ হঠাৎ মেজাজ হারালেও সচেতন হোন। অনেক সময় অস্থিরতা থেকে তার মন-মেজাজে নিয়ন্ত্রণ থাকে না নিজেরই। বয়ঃসন্ধির সময় এক রকম অপ্রতিরোধ্য মনোভাব তৈরি হওয়াও এর জন্য দায়ী। ফোন বা কম্পিউটার নিয়ে ওভার পজেসিভনেস থাকলে প্রয়োজনে সরাসরি কথা বলুন ওর সঙ্গে।
(শুরু হয়েছে আমাদের নতুন বিভাগ 'HELLO DOCTOR'। এ বারের বিষয় ‘ব্রণর সমস্যা’। এ বিষয়ে আপনার প্রশ্ন পাঠান query@abpdigital.in এই মেল আইডি তে। উত্তর দেবেন ত্বক বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষ।)