ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ছবি:সংগৃহীত।
ভারতের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার দশ দিন পূর্ণ হল। গত মাসের ২৪ অগস্ট চন্দ্রযান-৩ অভিযান সফল হয়েছে। এই সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান নামানো দেশগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারতের নাম। এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এর আগে দ্বিতীয় চন্দ্রযানের ব্যর্থতার পর এক ধাক্কায় ইসরোর চাঁদের মাটি ছোঁয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়। কিন্তু দমে যাননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তাঁরা। দীর্ঘ সময় ধরে কঠিন পরিশ্রম আর বিপুল সময় ব্যয় করে ভারতের মুকুটে সাফল্যের নতুন পালক যোগ করেছেন তাঁরা।
অক্লান্ত পরিশ্রম, বিনিদ্র রাত কাটানো, তবু অবসাদগ্রস্ত না হয়ে কাজ করে গিয়েছেন বিরামহীন ভাবে। দিন-রাত এক করে শুধু চাঁদের মাটিতে যান পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ইসরোর বিজ্ঞানীদের এই জীবনীশক্তির উৎস কী? মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে কী করেন তাঁরা? তৃতীয় চন্দ্রযানের সাফল্যের পর অনেকেই তা জানতে চেয়েছেন। সম্প্রতি ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাধবন নাইয়ার ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-কে সে কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের বিশেষ কিছু প্রকল্পের ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনও বেতন পান না তাঁরা। কিন্তু তা নিয়ে কখনও কোনও ক্ষোভ কিংবা বিরক্তি জন্ম নেয়নি। তবে প্রতি দিন বিকাল ৫টার সময় দুটো জিনিস তাঁদের চাই-ই। সেগুলি না পেলে নাকি কাজে গতি হারিয়ে ফেলেন খানিক।
ফিল্টার কফি আর মশলা দোসা— ইসরোর বিজ্ঞানীদের বিপুল জীবনীশক্তির উৎস। প্রতি দিন ঘড়ির কাঁটা ৫টা ছুঁতেই ফিল্টার কফির টান অনুভব করেন সকলে। সেই সঙ্গে পুর ভর্তি দোসা। এটা জানার পর অবশ্য অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।