ঘরবাড়ি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে একটু বেশিই যত্নবান হোন।
করোনা মোকাবিলায় শুধু নিজেকেই নয়, সুরক্ষা কবচে মুড়ে ফেলতে হবে নিজের ঘরবাড়িকেও। অসাবধানতা ও অসতর্কতার হাত ধরে ঘরবাড়িকে যদি জীবাণুমুক্ত না করা যায়, তা হলে কিন্তু বিপদ ঘনাতে পারে। ঘরবাড়ির দিকে নজর দিতে এই ক’দিন মেনে চলুন একটু বাড়তি পরিচ্ছন্নতা।
• ঘর তো রোজই মোছেন, সুগন্ধী ফ্লোর ক্লিনারের জায়গায় এই ক’দিন যোগ করুন ফিনাইল বা অন্য কোনও জীবানুনাশক লোশন। দিনে এক বারের বদলে এই ক’দিন বার দুয়েক মুছে নিন ঘর।
• এক সপ্তাহে এক বার বদলান বিছানার চাদর? এ বার এই রুটিনে একটু পরিবর্তন আনুন। দিন দুই অন্তর পাল্টে ফেলুন বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড়। সোফা, ফ্রিজ ও টিভির কভারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। গরম জলে কেচে নিন যাবতীয় কভার।
আরও পড়ুন: করোনার জেরে মিলছে না শিশুর অন্য রোগের ভ্যাকসিন! কী বিপদ ধাওয়া করছে এর পর?
কবে বেরবে করোনার টিকা, ওষুধ? এখনও অন্ধকারে চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা
• দিন কয়েক বালিশ-বিছানা কড়া রোদে দিন। জামাকাপড় বদ্ধ বারান্দায় না মেলে ছাদে বা সূর্যের আলো আসে, এমন জায়গায় মেলুন। বাজারের ব্যাগ, থলে ইত্যাদিও কেচে রোদে শুকোতে দিন। বাজারের ব্যাগ রোজ কাচতে না পারলেও অন্তত কড়া রোদে দিন।
• জানলা-দরজার গ্রিল ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। গ্লাভস পরে এ সব কাজ করুন।
• প্রতি দিন যে থালা-বাসনে খান, তা গরম জলে ধুয়ে নিন। রান্নাঘরে ব্যবহৃত বাসন ও জামাকাপড়ও নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
• বাড়িতে বাগান পরিষ্কার বা নর্দমা পরিষ্কারের মতো কাজ করাতে হলে বা নিজে করলেও খুব সতর্ক ভাবে করুন। কাজ সেরেই বাল করে স্নান করুন ও কাজের সময় ব্যবহৃত পোশাক জীবানুনাশক দিয়ে কেচে নিন।
• বাড়িতে কেউ শ্লেষ্মাজনিত অসুখে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁর কথা মতো রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে কয়েক দিন নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। এই সময় তাঁর ব্যবহৃত পোশাক, থালাবাসন সব আলাদা করুন। কাচার পর ডেটল জলে ধুয়ে আলাদা করে মেলে দিন।
• ধোয়া-কাচা করার সময় বা ঘরবাড়ি পরিষ্কারের সময় নিজের হাত-পা-মুখ-মাথা খুব ভাল করে ঢেকে নিন। মুখে মাস্ক পরুন। হাতে থাকুক গ্লাভস।
• নিয়মিত ঘর বাড়ি পরিষ্কার করার সময় নিজের মুখ, হাত, মাথা ঢেকে নিন। কোনও ভাবেই নিজের চোখে মুখে হাত দেবেন না।
• ঘর পরিষ্কারের পর নিজের হাত খুব ভাল করে সাবান বা অ্যালকোহল মেশানো হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন।