চোখের বিষয়ে সাবধান! ছবি: সংগৃহীত।
আপনার চোখ যদি কৃষ্ণকলির মতো না হয়, তাই বলে কি সে দিকে কেউ তাকাবে না? দু’চোখের ওই জটিল ভাষা কেউ পড়তে চেষ্টা করবে না? কাজল, লাইনার, মাস্কারা কিংবা আইশ্যাডোর ছোঁয়ায় ওই নয়নযুগলের গভীরতা সহজেই বাড়িয়ে তোলা যায়। কিন্তু এই সব প্রসাধনীর মধ্যে যে পরিমাণ রাসায়নিক থাকে, তা চোখের জন্য মোটেও ভাল নয়। এই সব প্রসাধনী ব্যবহারের ভুলে চোখে বড় কোনও সংক্রমণ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
চোখের প্রসাধনী থেকে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) চোখে, চোখের পাতার উপরে সাধারণ কাজল এবং লাইনার ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের প্রসাধনীতে যে সব রাসায়নিক থাকে, তা চোখের পাতার উপর এবং ওয়াটারলাইনে থাকা গ্রন্থিগুলির মুখ বন্ধ করে দিতে পারে। সেখান থেকে ড্রাই আইজ়ের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
২) মাস্কারা এবং আইশ্যাডোর মধ্যে অভ্র থাকে। কনজাংটিভাল প্রদাহের জন্য দায়ী এই প্রসাধনীগুলি। চোখ থেকে কর্নিয়ায় সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে চোখের পাতায় লাগানো মাস্কারা এবং আইশ্যাডো। সেখান থেকে সংক্রমণ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।
প্রসাধনী ব্যবহারের ভুলে চোখে বড় কোনও সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
৩) চোখের প্রসাধনী দিয়ে মেকআপ করার জন্য যে ব্রাশ, বাড্স বা স্পুলি ব্যবহার করেন, সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার না করলে তার মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক জন্মাতে পারে। সেই ব্রাশ পুনরায় ব্যবহার করলে চোখে সংক্রমণ হতেই পারে।
৪) চোখ বড়, গভীর দেখাতে চোখের পাতার ভূমিকাও কম নয়। যাঁদের চোখের পাতা ছোট, তাঁরা অনেক সময়েই আঠা দিয়ে চোখের উপর কৃত্রিম পাতা পরেন। আঠার মধ্যে যে ধরনের রাসায়নিক থাকে, তা চোখের জন্য মোটেও ভাল নয়। নিয়মিত ব্যবহার করলে সেখান থেকে চোখের বড় কোনও বিপদ কিন্তু হতেই পারে।