ভেজাল মেশানো গুড় চিনুন সহজ কিছু উপায়ে।
শীতে খেজুর গুড়ের চাহিদা ঘরে ঘরে। পায়েস হোক বা পিঠেপুলি, মিষ্টি থেকে নাড়ু— সবেতেই এই গুড়ের অবাধ যাতায়াত। অনেকেই রুটি বা লুচি-পরোটার সঙ্গেও খেজুর গুড়ের সঙ্গত বিসেষ পছন্দ করেন। তাই শীত পড়তে না পড়তেই ভোজনরসিক বাঙালি খোঁজখবর করে গুড়ের দরদাম।
কিন্তু এই গুড়েও আজকাল মিশছে ভেজাল। বেশি মিষ্টি করার জন্য মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম চিনি, কখনও বা রং আকর্ষণীয় করতে মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম রং। কেনার সময় সে সব ভেজাল মেশানো গুড়ই কিনে আনছেন হয়তো! তাই তেমন স্বাদ ও গন্ধ কিছুই মিলছে না।
তবে গুড়ে আদৌ কোনও ভেজাল আছে কি না তা সহজেই বোঝা যায় কিছু কৌশল মেনে চললেই। কেনার সময় সতর্ক থাকুন এ সব উপায়ে।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে কিডনি বদলাতে হতে পারে, মানতে হবে কী কী নিয়ম?
মেদ ঝরাতে চান? মেটাবলিজম নিয়ে এই চার মিথ আজই ভাঙুন
কেনার সময় একটু গুড় ভেঙে নিয়ে চেখে দেখুন। জিভে নোনতা স্বাদ ঠেকলে বুঝবেন এই গুড় খাঁটি নয়। এতে কিছু ভেজাল মেশানো রয়েছে। গুড় কেনার সময় গুড়ের ধারটা দুই আঙুল দিয়ে চেপে দেখবেন। যদি নরম লাগে, বুঝবেন গুড়টি বেশ ভাল মানের। ধার কঠিন হলে সেওই গুড় না কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি গুড় একটু তেতো স্বাদের হয়, তবে বুঝতে হবে গুড়টি বহু ক্ষণ ধরে জ্বাল দেওয়া হয়েছে। তাই একটু তিতকুটে স্বাদ নিয়েছে। স্বাদের দিক থেকে এমন গুড় খুব একটা সুখকর হবে না। গুড় যদি স্ফটিকের মতো তকতকে দেখতে হয়, তবে বুঝবেন, গুড়টি যে খেজুর রস দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তার স্বাদ খুব একটা মিষ্টি ছিল না। তাই গুড়টিকে মিষ্টি করে তুলতে এতে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম চিনি মেশানো হয়েছে। অনেক সময় গুড় খেতে গিয়েও চিনির সেই স্বাদ জিভে ঠেকে। সাধারণত গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়। হলদেটে রঙের গুড় দেখলেই বুঝতে হবে তাতে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো হয়েছে।