প্রতীকী ছবি।
অনেকেই মনে করে কম ঘুম হলে চোখের নীচে ফুলে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, কারও কারও চোখ জিনগতই সামান্য ফোলা। ঘুম থেকে উঠে তা আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাও চোখ ফোলার অন্যতম কারণ। চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই চোখ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে এ ছাড়াও চোখ ফুলে যাওয়ার আরও অনেক কারণ থাকতে পারে।
১। খাবারে নুনের পরিমাণ অত্যাধিক বশি হলে শরীরের নানা অংশে জল জমে ফুলে যায়। চোখও তাই।
২। কোনও কারণে যদি খুব বেশি কান্নাকাটি করে থাকেন, তা হলেও চোখ ফুলে যায় সাময়িক ভাবে।
৩। অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান বা মদ্যপান করলেও চোখ ফুলে যেতে পারে। তখন কোনও আই ক্রিম বা রসায়নিক দ্রব্য কাজে দেবে না।
৪। শরীরে হরমোনের গণ্ডগোল দেখা দিলেও চোখে ফোলার সমস্যা দেখা যায়।
প্রতীকী ছবি।
খুব বেশি চোখ ফুলে গেলে এবং সঙ্গে চোখে ব্যথা এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তবে সে সব কিছু না হলে চোখ ফোলা নিয়ে চিন্তার খুব একটি কারণ নেই। তাও যদি অস্বস্তি লাগে তা হলে ঘরোয়া উপায়ে কী করে চোখের ফোলা ভাব কমানো যায়, জেনে নিন।
১। ফ্রিজারে দুটো স্টিলের চামচ রেখে দিন। ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে এই চামচ দুটো চোখের পাতার উপরে চেপে ধরুন। ফোলা ভাবও কমবে আপনি খানিক চাঙ্গাও হয়ে উঠবেন।
২। অ্যালোভেরা জেল ম্যাসাজ করুন। অ্যালোভেরা রস ফ্রিজে রেখে যদি একটু ঠান্ডা করে লাগাতে পারেন, আরও ভাল ফল পাবেন।
৩। আলুর রস দারুণ উপকারি। আলু থেতো করে রস চিপে বার করে তুলে দিয়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। চোখের তলায় কালি বা ফোলা ভাব দূর করতে আলুর রস বেশ কার্যকর।
৪। শসা দিয়ে চোখের নীচের কালচে ভাব হাল্কা করা বা চোখের ক্লান্তি দূর করার কথা অনেকেই জানেন। ফোলা ভাব দূর করতেও শসা সামন ভাবে কার্যকর।
৫। গ্রিন টি বা কালো চা খাওয়ার সময় কি টি ব্যাগ ব্যবহার করেন? তা হলে খাওয়া হয়ে গেলে টি-ব্যাগগুলি ফেলবেন না। একটি শিশিতে ভরে ফ্রিজে ভরে রাখুন। ঠান্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর ধরলে দারুণ আরাম পাবেন এবং ফোলা ভাবও অনেকটা কমে যাবে।