শিশুর নিজস্ব পরিসরে থাক শিল্পের ছোঁয়া।
বাড়ি সাজানোর জন্য শেষ কথা আপনার রুচি। কিন্তু যদি আপনার পরিবারে থাকে একটি খুদে সদস্য, তা হলে তার ঘরও হতে হবে অন্য রকম। সে ক্ষেত্রে যতই আপনার নিজের পছন্দ থাকুক না কেন, ছোট্ট সদস্যটির ইচ্ছেকেও কিন্তু গুরুত্ব দিতে হবে। তাই শিশুর ঘর সাজানো সহজ কথা নয়। হাতে বাজেট কম? কম বাজেটে কী ভাবে সাজাবেন খুদের ঘর তারই হদিস দিলেন অভিনেত্রী টুইঙ্কল খন্না।
১) টুইঙ্কলের মতে শিশুদের ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে সবার আগে মাথায় রাখতে হবে পরিসর। বাচ্চাদের ঘরের মেঝের পরিসর বড় হওয়াই জরুরি। যত্রতত্র জিনিস ছড়িয়ে রাখা নয়, বরং বড় মেঝেয় তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো খেলে বেড়াতে পারবে। তাই ঘরের দরকারি আসবাব রাখতে পারেন দেওয়ালে ঝুলিয়ে।
২) রংচঙে, উজ্জ্বল এবং কোনও বিশেষ থিম অনুযায়ী রঙের প্যাটার্ন দিয়ে দেওয়াল রং করতে পারেন। অথবা একটি দেওয়ালে গাঢ় রং করে, বাকি তিন দেওয়ালে ওই রঙেরই কোনও হালকা শেড দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে স্টেনসিল দিয়ে নকশা তৈরির কাজে খুদেও আপনার সঙ্গে যোগ দিতে পারে।
৩) শিশুদের ঘরের রং বাছাই করার সময়ে মাথায় রাখবেন যাতে সেই রং ধুয়ে ফেলা যায়। ছোটরা দেওয়ালে আঁকিবুকি কাটবেই। তাই আগাম সতর্ক থাকাই ভাল। খুদের সৃজনশীলতার কথা খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই। তাই ঘরের এক কোনায় থাক ব্ল্যাক কিংবা হোয়াইট বোর্ড। তাতে সে চক, রং দিয়ে আঁকিবুকি কাটতে পারবে। সন্তান বয়সে একটু বড় হলে, পরীক্ষার রুটিন কিংবা দিনলিপিও লিখতে পারবে বোর্ডে।
৪) ফোনের প্রতি আসক্তির কারণে শিশুদের বই পড়ার অভ্যাস কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁদের ঘরে বইয়ের তাক তৈরি করুন। নানা ধরনের বই দিয়ে ভরিয়ে তুলুন তাদের ঘর। এতে খুদের মনে বই পড়ার উৎসাহ বাড়বে।
৫) ঘরের এক কোণে খুদের জন্য ‘প্লে কর্নার’ বানাতে পারেন। সেখানে তার পছন্দের খেলার জিনিজ, বাদ্যযন্ত্র সাজিয়ে রাখা যেতে পারে।
৬) শিশুকে প্রয়োজনীয় জিনিস রাখুন তারই উচ্চতার সঙ্গে মিলিয়ে। স্টোরেজ, বেঞ্চ, কোট র্যাকের নাগাল যেন সে নিজেই পায়। এতে নিজের জিনিস সে যেমন গুছিয়ে রাখতে পারবে, তেমন হয়ে উঠবে দায়িত্বশীলও।