বাসন মাজার ঘরোয়া উপকরণ। ছবি: সংগৃহীত।
রকমারি রান্না করতে মন্দ লাগে না। কিন্তু তেল-মশলা মাখানো বাসন পরিষ্কারের কথা ভাবলেই যেন গায়ে জ্বর আসে। তার উপর বাসন মাজতে গিয়ে যদি দেখেন সাবান অথবা ডিটারজেন্ট শেষ, তখন বিরক্তির শেষ থাকে না। তরল সাবান শেষ হয়ে গিয়েছে বলে কি অপরিষ্কার বাসন ডাঁই করে রাখবেন বেসিনে? তা তো হতে পারে না। ঘরোয়া কিছু উপকরণেও কিন্তু বাসন পরিষ্কার করা সম্ভব।
গরম জল আর হ্যান্ডওয়াশ
বাসন মাজার সাবানের বিকল্প হতে পারে এই দু’টি উপকরণ। ফুটন্ত গরম জলের সঙ্গে হ্যান্ড ওয়াশ মিশিয়ে নিন। ফেনা হলে সেই মিশ্রণটি দিয়ে বাসন মেজে নিতে পারেন। এতে শুধু বাসন ঝকঝকে হবে তা-ই নয়, ব্যাক্টেরিয়াও দূরে পালাবে।
বেকিং সোডা
সব সমস্যার যেন একটাই সমাধান বেকিং সোডা। রূপচর্চা থেকে থালাবাসন ঝকঝকে করে তুলতে, বেকিং সোডার জুড়ি মেলা ভার। অল্প জলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে থকথকে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি বাসনের গায়ে মাখিয়ে মিনিট পাঁচেক রাখুন। বেকিং সোডা স্টিলের বাসন ঝকঝকে করে তোলে।
নুন এবং লেবু
লেবু এবং নুনের গুণেই বাসনের তেল তেলে ভাব দূর করা সম্ভব। আধ কাপ মতো পাতিলেবুর রস নিয়ে তার মধ্যে কয়েক চা চামচ নুন মিশিয়ে নিন। তার পর সেই মিশ্রণটি দিয়ে থালা মেজে ফেলুন। বাসন দেখে বুঝতেই পারবেন না যে সাবান দিয়ে মাজা নয়।
ভিনিগার
বাড়িতে ভিনিগার আছে? তা হলে বাসন পরিষ্কার করা নিয়ে চিন্তা করবেন না। অল্প জলে কয়েক চামচ ভিনিগার মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তার পর এই জল আর ভিনিগারের মিশ্রণ বাসনের গায়ে ঢেলে দিন। কিছু ক্ষণ পরে স্ক্রাবার দিয়ে ভাল করে মেজে নিলেই ঝকঝকে হবে বাসন।
চাল ধোয়া জল
চাল ধোয়া জল অনেক ঘরোয়া সমস্যার চটজলদি সমাধান করে। এঁটো বাসন পরিষ্কার করতেও এই জল কার্যকরী। চাল ধোয়া জলে স্ক্রাবার ভিজিয়ে এঁটো বাসনের গায়ে ভাল করে বুলিয়ে নিলেই হবে। জল দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করতে পারেন।