ছোঁয়াহীন কল থাকলে, দু’হাত জোড়া থাকলেও অসুবিধা হয় না। ছবি: সংগৃহীত।
আসবাব থেকে অন্দরসজ্জা, বাড়িতে কি সাম্প্রতিক প্রযুক্তির ছোঁয়া! রান্নাঘরও ‘স্মার্ট’! তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ‘স্মার্ট’ হবে না কেন?
বহু বাড়িতেই রং থেকে আসবাবপত্র কেনার দিকে ঝোঁক থাকলেও, প্রাত্যহিক প্রয়োজনের বহু জিনিস কিন্তু কিছুটা সাবেকি ধাঁচেই রয়ে যায়। কিন্তু প্রযুক্তির ছোঁয়া তো সর্বত্রই! নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের সুবিধার্থেই। বাড়িতে আনুন ছোঁয়াচহীন ব্যবহার্য জিনিস।
কল
রান্নাঘর থেকে শৌচালয়ে কল থাকবেই। তার মধ্যে যদি রান্নাঘর ও শৌচাগারের কয়েকটি কল ছোঁয়াচহীন হয়, তাতে বাড়ির লোকেরই সুবিধা। সব্জি থেকে বাসন ধোয়ার জন্য, বার বার কল খোলা ও বন্ধ করা ঝক্কির। অনেক সময় দু’হাতেই জিনিস থাকে। তখন সমস্যা বেশি হয়। এই ধরনের কলে ‘সেন্সর’ থাকে। ফলে কলের মুখের কাছে নিয়ে গেলে নিজে থেকেই জল পড়ে আবার খানিক বাদে বন্ধ হয়ে যায়। কল বন্ধ করতে ভুলে গেলে ট্যাঙ্কের জল শেষ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও ঝক্কি নেই।
সাবান বের হওয়ার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা
হাত ধোয়ার জন্য বা রান্নাঘরে বাসন ধুতে গিয়ে বার বার তরল সাবান পাম্প করে বার করতে হয়। এর চেয়ে ছোঁয়াচহীন ব্যবস্থা থাকলে অনেক বেশি সুবিধা। ‘সেন্সরের’ নীচে হাত রাখলে নিজে থেকে সাবান বেরোবে। পাম্প করার দরকারই হবে না। বাসন মাজার সময়ও সুবিধা হবে এ ক্ষত্রে।
রোবট ভ্যাকিউম ক্লিনার
ছোট্ট একটা গোলাকার যন্ত্র। শক্তিশালী ভ্যাকিউম ক্লিনার। গৃহ-সহায়িকা না থাকলে বা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ধুলো-ময়লা হয়ে গেলে নিজে থেকেই ময়লা বুঝে পরিষ্কার করে দেবে এই যন্ত্র। এই যন্ত্রের আশপাশে থাকা ময়লা বায়ুর চাপে নির্দিষ্টি জায়গায় জমা হবে। রোবটের পিছনে সময় দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। এতে থাকা সেন্সর বুঝে নেবে, ঘরের কোথায় ময়লা রয়েছে।
ময়লা ফেলার স্বয়ংক্রিয় পাত্র
বার বার ঢাকনা তুলে ময়লা ফেলার চেয়ে অনেক বেশি কাজের ময়লা ফেলার স্বয়ংক্রিয় পাত্র বা ‘অটোমেটিক সেন্সর ডাস্টবিন’। এতে সেন্সর থাকে। ঢাকনার কাছে কোনও জিনিস নিয়ে এলে নিজে থেকেই তা খুলে যায়। জিনিস ফেলা হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ডাস্টবিনে হাত দেওয়ার কোনও প্রয়োজনই পড়ে না।