খুদের নিজস্ব পরিসরে থাকুক তার পছন্দের ছোঁয়া। ছবি: শাটারস্টক।
বাড়ি সাজাতে ভালবাসেন? পুজোর আগে ঘরের ভোলবদল করবেন ভাবছেন? ঘর সাজানো মানেই প্রচুর অর্থ খরচ করা নয়। সামান্য বুদ্ধি ও রুচি দিয়েই সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারেন অন্দরমহল। কিন্তু যদি আপনার পরিবারে একটি খুদে সদস্য থাকে, তবে তার ঘরটাও তো হতে হবে অন্য রকম। সে ক্ষেত্রে যতই আপনার নিজের পছন্দ থাকুক না কেন, খুদে সদস্যটির ইচ্ছেকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে!
এ ক্ষেত্রে কী কী মাথায় রেখে চলবেন?
১) খুদের ঘরের দেওয়ালের রং হালকা না করাই ভাল। শিশুর পছন্দের থিম অনুযায়ী দেওয়ালের রং করতে পারেন। অথবা একটি দেওয়ালে গাঢ় রং করে, বাকি তিন দেওয়ালে ওই রঙেরই কোনও হালকা শেড ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন নকশার ওয়াল পেপারও লাগাতে পারেন। ওয়াল পেপার বাছাই করার আগে খুদের পছন্দ-অপছন্দের কথা মাথায় রাখতে হবে কিন্তু। বাজারে অনেক ধরনের গ্লো স্টিকার পাওয়া যায়। ব্যবহার করতে পারেন সেগুলিও।
২) খুদের ঘরের মেঝের পরিসর বড় হওয়া জরুরি। তাদের ঘরে বড় খাটের প্রয়োজন নেই। ঘরে আসবাবপত্র বেশি হয়ে গেলে ওদের চলাফেরা করতে, খেলা করতে অসুবিধা হয়। শিশুর ঘরে রাখার জন্য এমন আসবাব কিনুন যা ভাঁজ করে রাখা যায়। যাতে ঘর গোছানো লাগে এবং ঘরের জায়গাটাও বাড়ে।
৩) খুদের সৃজনশীলতার খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই। তার ঘরের এক কোণে সাদা কিংবা কালো বোর্ড রাখতে পারেন। তাতে সে চক, রং দিয়ে আঁকিবুকি কাটতে পারবে। একটু বড় হলে, পরীক্ষার রুটিন কিংবা জরুরি কোনও তথ্যও লিখে রাখতে পারবে সেই বোর্ডে।
৪) খুদের ঘরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে আলো থাকে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। পড়াশোনার সময় কম আলো থাকলে তাদের চোখের ক্ষতি হতে পারে।
৫) শিশুর ঘরেও যেন সবুজের ছোঁয়া থাকে। দেওয়ালে একটু উঁচুতে তাক লাগিয়ে ছোট ছোট গাছ রাখতেই পারেন।